চতুর্থ অনাস্থা ভোটেও টিকে গেলেন থাই প্রধানমন্ত্রী

| রবিবার , ২৪ জুলাই, ২০২২ at ৩:৫২ পূর্বাহ্ণ

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা ও দেশটির মন্ত্রিসভার আরও ১০ সদস্য পার্লামেন্টে আস্থাভোটে উৎরে গেছেন। শনিবার ভোট হয়, তাতে সাবেক সেনাপ্রধান প্রায়ুথ পান ২৫৬ ভোট, বিপক্ষে পড়ে ২০৬টি। প্রায়ুথকে পদচ্যুত করতে ৪৭৭ আসনের পার্লামেন্টের ২৩৯ সদস্যের ভোট লাগত বলে জানিয়েছে। এবারের অনাস্থা ভোটকে আগামী বছরের নির্বাচনের আগে প্রায়ুথের সর্বশেষ বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছিল। ২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রথম ক্ষমতায় আসা প্রায়ুথের এ দফার প্রধানমন্ত্রীত্বের মেয়াদ আছে আগামী বছরের মে পর্যন্ত। খবর বিডিনিউজের।
শনিবার তার সঙ্গে তিন উপপ্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার ৭ সদস্যের চাকরিও টিকে গেছে। অনাস্থা নিয়ে গত কয়েকদিনের বিতর্কে বিরোধীরা কিছু অসত্য তথ্য উপস্থাপন করেছে এবং সরকার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিষয় স্পষ্ট করেছে। অনাস্থা নিয়ে বিতর্ক শেষ, আমরা এখন জনগণ ও দেশের স্বার্থে বিরোধীদেরকে আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে আহ্বান জানাচ্ছি, বলেছেন সরকারের মুখপাত্র থানাকর্ন ওয়াংবুনকোংচানা। ২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে চারবার তার বিরুদ্ধে অনাস্থা উঠল। তিন বছর আগের ওই নির্বাচনে যেসব নিয়মকানুন ছিল, তা প্রায়ুথকে প্রধানমন্ত্রী বানাতেই করা হয়েছিল বলে বিরোধীরা অভিযোগ করে আসছে।

প্রায়ুথ অবশ্য শুরু থেকেই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। সামপ্রতিক বেশ কয়েকটি জরিপে প্রায়ুথের জনপ্রিয়তা কমতে দেখা গেলেও পরের নির্বাচনে তারই জেতার সম্ভাবনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। নিজেদের ভোট বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই বিরোধীরা এবার থাই প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বলে ধারণা তাদের। আমরা জানি যে আমরা পার্লামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবো না। কিন্তু জনগণের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে, নির্বাচনে তারাই রায় দেবে, সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন বিরোধীদের নেতা চোনলানান শ্রীকায়েউ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবি ব্যাচ ৩২ ক্লাব চট্টগ্রামের সভা
পরবর্তী নিবন্ধখেলাঘরের মানববন্ধন-সমাবেশ