চট্টল গৌরবদের জানাই অভিনন্দন

কুমার প্রীতীশ বল | রবিবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে অজস্র পুরস্কারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্মানিত পুরস্কারগুলো হলো স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। বিগত তিন মাসে চট্টগ্রামের নয় জন বিশিষ্টজন একুশে পদক, বেগম রোকেয়া পদক এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন কর্মসূত্রে এবং একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে চাটগাঁর অন্তর্গত মনে করেছি। বাকীরা জন্মসূত্রে চট্টগ্রামের গর্বিত সন্তান।
একুশে পদক বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সালে এই পদকের প্রচলন করা হয়। ২০২২ সালে এই একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন দৈনিক আজাদীর সুযোগ্য সম্পাদক চট্টল গৌরব জনাব এম.এ. মালেক। দৈনিক আজাদীর সঙ্গে একুশের ভাষা আন্দোলনের একটি আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। এ তথ্য অনেকেরই হয়ত অজানা। ইতিহাসটা এমন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী গুলি চালিয়ে হত্যা করে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে মিছিলরত তরুণদের কয়েকজনকে। সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী তখন অসুস্থ; তাঁর জলবসন্ত হয়েছে। রাত জেগে তিনি লিখলেন একুশের প্রথম কবিতা ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’। পরদিন তিনি তা তুলে দিলেন তাঁরই সতীর্থ চৌধুরী হারুণ-উর-রশীদ-এর হাতে। চৌধুরী হারুণ-উর-রশীদ কবিতাটি ছাপানোর জন্য নিয়ে গেলেন দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের কাছে। ইঞ্জিনিয়ার সাহেব কবিতাটি গোপনে কৌহিনূর ইলেকট্রিক প্রেস থেকে রাত জেগে ছাপিয়ে দেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। ২৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে প্রতিবাদ সভায় সেই মুদ্রিত কবিতা পড়লেন চৌধুরী হারুণ-উর-রশীদ। একই সঙ্গে মুদ্রিত কবিতাটি উপস্থিত দর্শক-শ্রোতার মধ্যে হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তান সরকার সে কবিতা পরে বাজেয়াপ্ত করে। কবিতাটি হয়ে গেল ইতিহাসের অংশ। কিন্তু কৌহিনূর ইলেকট্রিক প্রেসের সেদিনের সেই সাহসী ভূমিকা ইতিহাসের অনালোচিত অধ্যায় হিসাবে চাপা থেকে গেল। দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেকের সু-পুত্র প্রচারবিমুখ মানুষটি যখন একুশে পদকে ভূষিত হলেন, তখন সেদিনের সেই ইতিহাস আবার স্মরণে আসল। ইতিপূর্বে দৈনিক আজাদীর প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এবং সহযোগী সম্পাদক রাশেদ রউফ পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার। একই পরিবারের তিনজনের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত হওয়া অত্যন্ত গৌরবের। সমাজসেবার জন্য ২০২২ সালে একুশে পদক পেয়েছেন চট্টগ্রামের বিশিষ্টজন সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথেরো। এছাড়াও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর গৌতম বুদ্ধ দাশ (কর্মসূত্রে চট্টগ্রামের অন্তর্গত) শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য এবছর একুশে পদক লাভ করেন। বিশিষ্ট অভিনেতা এবং নাট্যজন মাসুম আজিজও মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০২২ সালে একুশে পদক পেয়েছেন। জন্মসূত্রে তিনি চট্টগ্রামের না হলেও তাঁকেও আমি চটগ্রামের অন্তর্ভুক্ত করে অভিনন্দন জানাতে চাই এ কারণে যে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই তিনি নাটকের সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি ৪০০ এর অধিক সংখ্যক নাটকে অভিনয় করেন। এছাড়াও ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে চট্টল গৌরবদের মধ্যে আরও যাঁরা একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন, তাঁরা হলেন ড. মুহাম্মদ এনামুল হক, মোহাম্মদ ফেরদাউস খান, সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, অমলেন্দু বিশ্বাস, মাহমুদ শাহ কোরেশী, রুনু বিশ্বাস, আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, ফনী বড়ুয়া, আহমদ ছফা, রমেশ শীল, প্রতিভা মুৎসদ্দী, আহসাব উদ্দিন আহমদ, বিশুদ্ধানন্দ মহাথের, সুকোমল বড়ুয়া, শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণব, শেফালী ঘোষ, বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, জ্যোতিপাল মহাথেরো, আবদুল হক চৌধুরী, শ্রীমৎ শুদ্ধানন্দ মহাথেরো, বিপ্রদাস বড়ুয়া, সত্যপ্রিয় মহাথেরো, সুকুমার বড়ুয়া, আবুল মোমেন, অধ্যাপক ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন, সুব্রত বড়ুয়া, হরিশংকর জলদাস, সুফি মিজানুর রহমান, সমাজ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. অনুপম সেন. আহমদ ইকবাল হায়দার, সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, অধ্যাপক মাহবুবুল হক (কর্মসূত্রে চট্টগ্রামের অন্তর্গত), রশিদ চৌধুরী(কর্মসূত্রে চট্টগ্রামের অন্তর্গত), মুর্তজা বশির(কর্মসূত্রে চট্টগ্রামের অন্তর্গত), জামাল নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ (কর্মসূত্রে চট্টগ্রামের অন্তর্গত) এবং অধ্যাপক জিয়া হায়দার (কর্মসূত্রে চট্টগ্রামের অন্তর্গত)।
প্রাতিষ্ঠানিক পুরস্কারের মধ্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার সাহিত্যকর্মীদের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক স্বীকৃতি। বাংলা একাডেমি ১৯৬০ সাল থেকে বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সমসাময়িক জীবিত লেখকদের সামগ্রিক মৌলিক অবদান চিহ্নিত করে তাঁদের সৃজনী প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করাই বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্য। ২০২১ সালে বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার লাভের মাধ্যমে সম্মানিত হয়েছেন অন্যান্যের মধ্যে চট্টল গৌরব কবি ও কথাসাহিত্যিক বিশ্বজিত চৌধুরী, কবি আসাদ মান্নান, কবি বিমল গুহ। এরই মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের সাহিত্য চর্চার স্বীকৃতি লাভ করেছেন। এছাড়াও চট্টল গৌরবদের মধ্যে ইতিপূর্বে আরও যাঁরা বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, তাঁরা হলেন সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, আবুল ফজল, ড. মুহাম্মদ এনামূল হক, মাহবুব-উল আলম, ড. আহমদ শরীফ, সুচরিত চৌধুরী, সুকুমার বড়ুয়া, সুব্রত বড়ুয়া, বিপ্রদাস বড়ুয়া, হরিশংকর জলদাস, ভুঁইয়া ইকবাল (কর্মসূত্রে চট্টগ্রামের অন্তর্গত), আবুল মোমেন, সুজন বড়ুয়া, রাশেদ রউফ, অধ্যাপক মাহবুবুল হক (কর্মসূত্রে চট্টগ্রামের অন্তর্গত), রহীম শাহ, ফারুক মঈনউদ্দিন।
গত ডিসেম্বরে ‘বেগম রোকেয়া পদক ২০২১’-এ ভূষিত হয়েছেন সমাজ ও নারী উন্নয়ন এবং নানামুখী জনকল্যাণমূলক কাজের কারণে চট্টগ্রামবাীর কাছে ‘পরাণ আপা’ নামে পরিচিত শামসুন্নাহার রহমান পরাণ। শামসুন্নাহার রহমান পরাণ মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে স্বপ্রণোদিত হয়ে সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। সমাজসেবা এবং নারী উন্নয়নের ব্রত নিয়ে তিনি স্বাধীনতাত্তোর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ১৯৭২ সালে চট্টগ্রামে প্রথম রেজিস্টার্ড এনজিও ‘ঘাসফুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সারাজীবন সুবিধাবঞ্চিত বিশেষ করে অবহেলিত ও দরিদ্র নারী এবং ক্ষুধার্ত শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। পরাণ আপা নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এবার মরণোত্তর বেগম রোকেয়া পদক-২০২১-এ ভূষিত হন। এছাড়াও গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে নারী শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য বেগম রোকেয়া পদক-২০২১-এ ভূষিত হয়েছেন প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা। তাঁর জন্ম কুমিল্লা জেলায়। তবে তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবন আবর্তিত ছিল এই বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলায়। উল্লেখ্য, ‘বেগম রোকেয়া পদক’ নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার অবিস্মরণীয় অবদানের স্বীকৃতি উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের একটি রাষ্ট্রীয় পদক। প্রতিবছর ডিসেম্বরের ৯ তারিখ বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে সরকারিভাবে এই পদক প্রদান করা হয়। নারী কল্যাণ সংস্থা ১৯৯১ সাল থেকে এই নামের একটি পদক প্রদান করা শুরু করে। সরকারিভাবে ১৯৯৬ সাল থেকে এই পদক প্রদান করা হয়। ইতিপূর্বে চট্টগ্রাম থেকে বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত হয়েছেন শহীদ জায়া বেগম মুশতারি শফী, রমা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার (কর্মসূত্রে চট্টগ্রামের অন্তর্গত)।
স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে এই পদক প্রদান করা হয়ে আসছে। এই পুরস্কার জাতীয় জীবনে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের নাগরিক এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে প্রদান করা হয়ে থাকে। ব্যক্তির পাশাপাশি জাতীয় জীবনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অনন্য উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতিষ্ঠানকেও এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। ডা. মোহম্মদ জাফরউল্লাহ, ড. মুহাম্মদ এনামুল হক, নৃত্য শিল্পী বুলবুল চৌধুরী, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনূস, আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ, বিনোদ বিহারী চৌধুরী, জহুর আহমদ চৌধুরী, এম.এ. আজীজ, বেলাল মোহম্মদ, সঙ্ঘরাজ জ্যোতিঃপাল মহাথেরো, শহীদ নতুন সিংহ, সাহিত্যিক আবুল ফজল, এম.এ. হান্নান, ভূপতি ভূষণ চৌধুরী(মানিক চৌধুরী), অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ, মুর্তজা বশির (কর্মসূত্রে চট্টগ্রামের অন্তর্গত), আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এবং প্রতিষ্ঠান হিসাবে গ্রামীণ ব্যাংক পুরস্কৃত হয়ে হাজার বছরের চট্টগ্রামের গৌরবকে সমৃদ্ধ করেছেন।
২০০৬ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে শান্তিতে যে নোবেল পুরস্কার পান, জন্মসূত্রের কারণে এই গৌরবও চট্টগ্রামের অন্তর্গত।
চট্টল গৌরবরা শুধু পুরস্কার গ্রহণ করে না, পুরস্কার প্রদানও করে থাকেন। চট্টগ্রামের দুটি উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের একটি হলো, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একুশে সাহিত্য পুরস্কার। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রবর্তিত বাৎসরিক একুশে স্মারক সম্মাননা পদক ও একুশে সাহিত্য পুরস্কারের অংশ। বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় জাতীয় পর্যায়ে নির্দিষ্ট অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০১৪ সাল থেকে প্রতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে চট্টগ্রামের নাগরিকদের এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। অপর পুরস্কারটি হলো, চট্টগ্রাম একাডেমি প্রবর্তিত ‘অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার’। সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ-এর নামে প্রবর্তিত ‘অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কারের’ উদ্যোক্তা হলো সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম একাডেমি।
বাংলাদেশে নানান পদের পুরস্কারের খবর পত্রিকা খুললেই পাওয়া যায়। প্রাপকের সংখ্যাও এই ১৬ কোটি মানুষের দেশে নেহাৎ কম নয়। তবে সব পুরস্কারের পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত আছে। আমি সে বিতর্কের অংশ নিতে অনিচ্ছুক হয়ে সব পুরস্কারকে স্বাগত জানাই। তবে অনুরোধ থাকবে, নিভৃতচারী যোগ্যজনদের পুরস্কার প্রদান করতে রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক পুরস্কার প্রদানের প্রক্রিয়া অর্থাৎ ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া’ সহজতর করা দরকার। কারণ চট্টল গৌরবদের মধ্যে অনেকে পুরস্কৃত হয়েছেন, কিন্তু পুরস্কৃত হননি এমন সংখ্যাও কম নয়। ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া’ জটিল বলে এখনও অনেক সংবেদনশীল যোগ্যতম গুণীজন নিভৃতচারিতা এবং সংবেদনশীলতার কারণে পুরস্কারের তালিকার বাইরে রয়ে গেছেন। (তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া)। লেখক : কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যজন

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিবপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়: ভারতীয় ভূগোলের জনক
পরবর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে