চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাব

মেয়রের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে জাপানি রাষ্ট্রদূত

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ at ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

নগর উন্নয়ন এবং পর্যটনের বিকাশে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) পরিকল্পনাধীন একাধিক প্রকল্পে জাপানের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের সুযোগ আছে বলে দেশটির রাষ্টদূত ইতো নাওকিকে জানিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় ইতো নাওকি বলেন, জাপান সরকার জাইকার মাধ্যমে চসিকের গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন। এ সময় নগর উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিয় করেন তারা।
জাপানের রাষ্টদূত ইতো নাওকি বলেন, চট্টগ্রাম প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর একটি নগরী। চট্টগ্রামকে ঘিরে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাব। এখানে পর্র্যটন শিল্পেরও অপার সম্ভাবনা রয়েছে। মেয়র রাষ্টদূত ইতো নাওকিকে জানান, জাপানের দাতা সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় নগরে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে সেবামূলক অনেক কাজ করে যাচ্ছে। অত্যাধুনিক ও প্রযুক্তিগত পদ্ধতিতে কনজারভেন্সি সেন্টার স্থাপনের ফলে নগর দূষণমুক্ত ও পরিবেশ বান্ধব হওয়ার নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। চসিকের পরিকল্পনাধীন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চর বাকলিয়ায় পর্যটন কেন্দ্র, কাট্টলীর সাগর পাড়ে এমিউজমেন্ট পার্ক এবং ঠাণ্ডাছড়িতে রিভোকেশনাল জোন। এছাড়া রেল ক্রসিং ওভারপাস নির্মাণ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন, শাহ আমানত ব্রিজ থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করার পরিকল্পনার কথা জানান মেয়র।
জাপানের প্রশংসা করে মেয়র বলেন, জাপান বিশ্বের আধুনিক প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ। জাপানের মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু সর্বদা পাশে থাকলে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার গতি আরো ত্বরান্বিত হবে।
ইতো নাওকি আরো বলেন, জাপান বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু। দুই দেশের বন্ধুত্ব কেবল পারস্পরিক স্বার্থের জন্য নয়, মূলত খাঁটি সহানুভূতিরই একটি অংশ। আগামী ৫ বছরের মধ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে উন্নয়নের নতুন ধাপে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাইকার চীফ রিপ্রেজেন্টেটিভ হায়াকাওয়া ইউহো, ইতো ডিসওকি, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, কামরুল ইসলাম, সুদীপ বসাক, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুল্লাহ আল ওমর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅস্ট্রেলিয়ায় কাউন্সিলর হলেন পাঁচ বাংলাদেশি
পরবর্তী নিবন্ধশেখ হাসিনার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চাই : মোদি