কয়েকদিন আগে ঐতিহাসিক লালদীঘি সংলগ্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়েছিলাম। পঞ্চম তলায় অবস্থিত লাইব্রেরিতে উঠতে লিফটের ৪ বোতাম টিপে নামার পরই দৃষ্টিগোচর হল পত্রিকা পাঠকক্ষ। ডানে একটু গেলেই মূল লাইব্রেরি ভবন। প্রবেশ পথেই স্যানিটাইজার রক্ষিত ছিল। যা দিয়ে করোনাকালীন এই সময়ে হাতকে জীবাণুমুক্ত রাখা যায়। লাইব্রেরিতে থাকাকালীন অনেক জ্ঞানপিপাসু পাঠকের সাথে আলাপ চারিতায় তাদের প্রায় প্রত্যেকেই এই ধরনের একটি নান্দনিক লাইব্রেরি স্থাপনে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের উদ্যোগের প্রশংসা করছিলেন। প্রাক্তন সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন তাঁর সীমিত সময়কালের মধ্যে বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেনকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়ে লাইব্রেরিটি পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য তাঁকে অভিনন্দিত করতে পাঠক মহল কার্পণ্য করেননি।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী চট্টগ্রাম অথচ এখানে হাতেগোনা মাত্র দুইটি পাবলিক লাইব্রেরি আছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সম্মুখে অবস্থিত বিভাগীয় পাবলিক লাইব্রেরিটি পুনঃ নির্মাণের প্রয়োজনে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। জনসংখ্যা বিবেচনায় চট্টগ্রামে আরও পাবলিক লাইব্রেরি স্থাপনে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদ্যোগী ভূমিকার প্রত্যাশা জ্ঞানপিপাসু পাঠকদের।
শেখ মোজাফ্ফর আহমদ, ফোর্রখ সেন্টার, নজুমিঞাহাট, চট্টগ্রাম।