চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড সচিব অবসরে, পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৯ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ

২৬ অক্টোবর অবসরোত্তর (পিআরএল) ছুটিতে গেছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব প্রফেসর আবদুল আলীম। এতে করে ২৭ অক্টোবর থেকে শিক্ষাবোর্ডের দ্বিতীয় শীর্ষ পদটি শূন্য হয়ে পড়েছে। যদিও পদটিতে নিয়োগ পেতে আরো আগে থেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের (সরকারি কলেজের শিক্ষক) বেশ কয়জন পদটির জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা-তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এ তালিকায় চট্টগ্রাম কলেজের দুজন শিক্ষক এবং শহরের বাইরের একটি কলেজের অধ্যক্ষের নাম শোনা যাচ্ছে। বোর্ডের এক কর্মকর্তার নামও আলোচনায় রয়েছে। বিভিন্নভাবে তদবির-চেষ্টা চালালেও প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কেউ বলতে আগ্রহী নন। তবে শিক্ষাবোর্ডে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেশ কয়বছর ধরে বোর্ডে একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। যারা বদলি বাণিজ্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত। বিশেষ করে বর্তমান সরকার তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই চক্রটিই হয়ে উঠে চট্টগ্রামের শিক্ষা সেক্টরে বদলি বাণিজ্যের মূল হোতা (নিয়ন্ত্রক)। বেশ কয়বছর ধরেই পছন্দসই পদে বদলি-পোস্টিংয়ের রমরমা বাণিজ্য চক্রটির হাতে। কোন পদ শূন্য হলেই সেটিতে নিজেদের বলয়ের লোক বসাতে চক্রটির জোর তৎপরতা দেখা যায়। এখন বোর্ডের সচিব পদেও ‘নিজেদের লোক’ বসাতে চক্রটি মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ।

বোর্ডে সক্রিয় থাকা চক্রের কথা স্বীকার করেছেন সদ্য অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়া সচিব প্রফেসর আবদুল আলীমও। একাধিকবার কয়েক মাস সময় ধরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। পিআরএল জনিত বিদায় উপলক্ষে গত ২৫ অক্টোবর প্রফেসর আবদুল আলীমের বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। বোর্ড মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মুস্তফা কামরুল আখতার। বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কর্মচারীরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তবে বিদায়ের কয়েকদিন আগে থেকেই ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন প্রফেসর আবদুল আলীম। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতৃবৃন্দ, সহকর্মী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বোর্ডে এসে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

অবসরে যাওয়া এই কর্মকর্তার দাবি, বোর্ডে কর্মকালের শেষ কয়েক বছরে চক্রটির কাছে পদে পদে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন। অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে গেলেই চক্রটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সব জায়গায় নিজেদের বলয়ের লোক বসাতে জোর চেষ্টা থাকে তাদের। শূন্য হওয়া সচিব পদেও চক্রটি নিজেদের লোক বসাতে চাইবে, এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। কারণ, যে কোনোভাবে নিজেদের স্বার্থ হাসিলই তাদের উদ্দেশ্য।

এদিকে, নিজেদের বলয়ের লোক হিসেবে চট্টগ্রাম কলেজের দুজন শিক্ষককের একজনকে বোর্ডের সচিব পদে বসাতে চক্রটি মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশেষায়িত চিকিৎসায় আলাদা স্ট্রোক ইউনিট চমেক হাসপাতালে
পরবর্তী নিবন্ধতিনশ পরিবারের ২শ কোটি টাকা আটকা