চট্টগ্রাম শহরে বাস যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব প্রসঙ্গে

| মঙ্গলবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ

সুদুর অতীতকাল থেকেই আমরা শহরের বাসগুলিতে একজন চালক একজন কন্ডাক্টর যিনি যাত্রীদের ভাড়া আদায় করে টিকেট দেন এবং হেলপার যিনি ছোটছোট বাচ্চাদের ও বয়স্ক যাত্রীদেরকে গাড়িতে উঠানামায় সাহায্য করেন। ২০০৮ সনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পূর্বে ‘চট্টগ্রাম শহর বাস মালিক সমিতি’ নামক সংগঠন শহরের বাস চলাচল ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতেন। প্রতি ৩/৪ মাইল অন্তর একজন করে ‘টাইম কিপার’ গাড়িগুলোর সময় লিপিবদ্ধ করতেন। ইদানীং শহরে গাড়ি রুট যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি যাত্রী সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় নিয়ম কানুন আগের থেকে খারাপ হয়েছে। যেখানে সেখানে গাড়ি থামানোর ফলে যানজট বৃদ্ধি পেয়ে শব্দ দূষণের ফলে যাত্রীদের জীবন ঝুকিপূর্ণ হয়েছে। হেলপার না থাকায় কন্ডাক্টরকে একাই দুইটি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অফিসগামী চাকরিজীবীদের সময় মত অফিসে পৌঁছাতে না পারায় বাসে হৈ, চৈ চেচামিচি করতে দেখা যায়।

মেট্রোলিংক, যাত্রীসেবা, লুসাই পরিবহন ইত্যাদি সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে রুট পারমিট অনুযায়ী গাড়ি চালানো হচ্ছে না। তাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে নীতিমালা প্রকাশ করতঃ বাস যাত্রীগণকে রাহুগ্রাস থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করছি।

মো. সালাহ উদ্দিন

নিউমুরিং ইপিজেড

চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহো চি মিন : ভিয়েতনাম মুক্তিসংগ্রামের নেতা
পরবর্তী নিবন্ধদেখতে ভালো মনে হলেও