চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে ৮শ শয্যার হাসপাতাল

চলতি মাসেই ডিপিপি-মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করে জমা হবে মন্ত্রণালয়ে

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৬ মার্চ, ২০২১ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

৮শ শয্যার হাসপাতাল হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। গড়ে তোলা হবে দশতলা ভবন। হাসপাতাল ভবন ছাড়াও মূল প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, আবাসিক ভবনসহ ৫টির বেশি ভবন নির্মিত হবে ক্যাম্পাসে। প্রতিটি ভবনই হবে দশতলা। অবকাঠামোর পাশাপাশি ক্যাম্পাসে গড়ে তোলা হবে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু চত্বর। এমন প্রস্তাবনাসহ বিশ্ববিদ্যালটির ডিপিপি ও মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুতের কাজ শেষ করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। যা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। ডিপিপি ও মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুতের পাশাপাশি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল সোমবার ঢাকায় এ সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মো. ইসমাইল খান আজাদীকে বলেন, ডিপিপি ও মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুতের কাজ শেষ হয়েছে। সোমবারের সভায় এর খসড়া পর্যালোচনা করা হয়েছে। মোটামুটি চূড়ান্ত পর্যায়ে বলা চলে। চলতি মাসের মধ্যেই এই ডিপিপি ও মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। ডিপিপি ও মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের সাথে সোমবারের বৈঠকে উপাচার্য ছাড়াও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদ হোসেন প্রমুখ অংশ নেন।
বৈঠকে অংশ নেয়া ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও অবকাঠামোর নকশা এবং ডিজাইন আমাদের আমাদের কাছে দৃষ্টিনন্দন মনে হয়েছে। এখানে ৮শ শয্যার হাসপাতাল হবে। শুধু অবকাঠামোই থাকছে না, জাতির জনকের স্মরণে গড়ে তোলা হবে বঙ্গবন্ধু চত্বর। সবমিলিয়ে প্রাকৃতিক নিঃস্বর্গের অপরূপ একটি ক্যাম্পাস আমরা পেতে যাচ্ছি। নির্মাণ কাজ শেষ হলে যা দৃশ্যমান হবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পে এর আগে (২০১৯ সালে) একটি ডিপিপি প্রস্তুত করে বেসরকারি একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। প্রস্তুত করা ডিপিপিতে নানা অসংগতি ধরা পড়ে। এর প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ওই ডিপিপি বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা যাচাই ও নতুন করে ডিপিপি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এখন নতুন ভাবে ডিপিপি ও মাস্টারপ্ল্যান প্রস্তুতের কাজ শেষ হয়েছে। যা অনেকটা চূড়ান্ত পর্যায়ে। আগামী ২০ মার্চ প্রস্তুতকৃত ডিপিপি ও মাস্টারপ্ল্যান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়ার কথা রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমশা মারার কোন ওষুধ নিরাপদ
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু কালো পতাকা উড়িয়ে ইয়াহিয়ার সঙ্গে বৈঠকে যান