চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল নার্সিং ইনস্টিটিউটের ২০২০–২০২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র–ছাত্রীদের বিদায় অনুষ্ঠান গত রোববার নার্সিং গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডোনার) ও নার্সিং সাব–কমিটির চেয়ারম্যান ডা. কামরুন নাহার দস্তগীরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. উম্মে বিরজিস আক্তার সাফিয়া বানু।
বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী কমিটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, সদস্য তারিকুল ইসলাম তানবির, মো. সাইফুল আলম, ডা. শাহনেওয়াজ সিরাজ মামুন, পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নূরুল হক, হাসপাতালের অবস এন্ড গাইনী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. সিরাজুন নুর রোজী, উপ–পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, উপ–পরিচালক (মেডিকেল এ্যাফেয়ার্স) ডা. এ কে এম আশরাফুল করিম, শামসুন নাহার খান নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল স্মৃতি রানী ঘোষ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল ঝিনু রানী দাশ।
প্রধান অতিথি ডা. উম্মে বিরজিস আক্তার সাফিয়া বানু বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সাথে আমাদের পরিবারের আত্মার সম্পর্ক জড়িত। আমার মরহুম শ্রদ্ধেয় বড় ভাই ডা. এ এফ এম ইউসুফ এই হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ছিলেন। খুব ছোট্ট পরিসরে মাত্র দুটি রুম নিয়ে তখন এই হাসপাতালটি শুরু করা হয়। বর্তমানে এই হাসপাতাল একটি বিশাল মহিরুহে পরিণত হয়েছে। এই হাসপাতালের সুনাম এখন সারাদেশ ব্যাপী। দেশের বাইরেও এই হাসপাতাল ব্যাপকভাবে পরিচিত। আমি জেনে খুবই আনন্দিত হয়েছি, বর্তমানে এটি ১০৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। আপনারা ইতোমধ্যেই অত্যাধুনিক একটি ক্যান্সার হাসপাতালও শুরু করেছেন। সর্বোপরি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল স্বাস্থ্য সেবায় আজ চট্টগ্রামবাসীর আস্থা ও বিশ্বাসের ঠিকানা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আমি এবং আমাদের পরিবার এজন্য অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। কারণ আমরাও এর গর্বিত অংশীদার।
পরে নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্র–ছাত্রীদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি