চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা

| রবিবার , ৩০ জুন, ২০২৪ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ৪৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা গতকাল শনিবার বিকাল ৩টায় হাসপাতালের লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কার্যনির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন।

সভার শুরুতে গত ১ বছর কার্যকালে যেসকল বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, হাসপাতালের আজীবন সদস্য ও হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের জন্য শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের আজীবন সদস্য ও চট্টগ্রাম১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানা। ২০২৩ সালের হাসপাতালের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কার্যনির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ। কার্যনির্বাহী কমিটির ট্রেজারার অধ্যক্ষ লায়ন ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ ২০২৩ সালের হাসপাতালের নিরীক্ষা প্রতিবেদন, ২০২৪ সালের বাজেট ও ২০২৪ সালের নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব সভায় উপস্থাপন করেন এবং বাজেটের বিশেষ দিকসমূহ তুলে ধরেন। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের ২০২৩ সালের নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও ২০২৪ সালের বাজেট উপস্থাপন করেন মেডিকেল কলেজের ফাইন্যান্স ম্যানেজমেন্ট টিমের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন। সভায় হাসপাতালের বার্ষিক প্রতিবেদন, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নিরীক্ষিত হিসাব প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এরপর আলোচনা শেষে বার্ষিক প্রতিবেদন, আর্থিক প্রতিবেদন, নিরীক্ষিত হিসাব ও প্রস্তাবিত বাজেট সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়।

এম এ লতিফ এমপি বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল আজ বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত ও সমাদৃত। আমরা চট্টগ্রামবাসী বিশেষ করে আমার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম১১ এর জনগণ এই হাসপাতালকে নিয়ে গর্ব করে। আমরা মনে করি এটা আমাদের প্রতিষ্ঠান।

এই হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের দোয়া ও সমর্থন আপনাদের প্রতি রয়েছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ। তিনি রোগীদের প্রতি আন্তরিক সদয় ব্যবহার ও সহানুভূতিশীল আচরণ করার জন্য ডাক্তার, নার্স ও সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উৎসাহিত করার জন্য নিজের পক্ষ থেকে তিন মাস পর পর ১০ জন বেস্ট কর্মচারীকে পুরস্কৃৃত করার প্রতিশ্রুতি দেন।

এছাড়া আজীবন সদস্যগণের মধ্য থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হাসপাতালের সাবেক পরিচালক (প্রশাসন) লে. কর্নেল (অব.) মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, রোটারিয়ান এমদাদুল আজিজ চৌধুরী, সাইফুল্লা মনসুর, শাহ আলম চৌধুরী, জিয়া হাবিব আহসান, মো. সাজ্জাদ, ফজলে এলাহি টিপু, লায়ন নবাব হোসেন মুন্না, সৈয়দ মো. খালেদ, খায়রুল আলম, সাইফুল আলম চৌধুরী, এস এম সালাউদ্দিন, ফজলুল করিম মুন্না, ওয়াজি উল্লাহ বাদল প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঐকতানের আয়োজনে সংস্কৃতি সচিবের একক সংগীতানুষ্ঠান
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা