বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম জেলা উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ছয় মাসের জন্য এ তিন কমিটি ঘোষণা করা হয়। গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত তিনটি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সংগঠনটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই তিনটি কমিটিতে মোট ৭৫৪ জনের নাম রয়েছে।
এতে চট্টগ্রাম মহানগরের কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিজাউর রহমানকে। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফ মাইনুদ্দিন। সদস্য সচিব সরকারি সিটি কলেজের নিজাম উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির রাশেদুল আলম। নতুন কমিটির মুখ্য সংগঠক করা হয়েছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির তাওসিফ ইমরোজকে। যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হয়েছেন সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির ফরহাদ বিন হাবিব ইমন। মুখপাত্র করা হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজের ফাতেমা খানম লিজাকে। চট্টগ্রাম মহানগরের নতুন কমিটিতে সংগঠক হিসেবে রয়েছেন মোট ৫৮ জন এবং সদস্য হিসেবে আছেন ২০০ জন।মহানগরের ২৪ জন যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন, মাহমুদুল হাসান মধু, মোহাম্মদ জোবায়ের, জসীম উদ্দিন, রিদুয়ান সিদ্দীকী, তানভীর শরীফ, আলী আশরাফ, হামিম আবদুল্লাহ, আমিন আল রাজি, মিনহাজ উদ্দিন, তারেক হোসেন, মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, আব্দুল কাদের, ইয়াসিন আরাফাত, হাবিবুল কবির সায়েদ, সাইফুল ইসলাম, আরাফাত চৌধুরী শিবলু, চৌধুরী সিয়াম ইলাহি, আরমান শাহরিয়ার সৌরভ, নাছির উদ্দিন, মিফতাহুল জান্নাত শিফা, মুমতাহিনা পিয়া, জানে আক্তার জেনিফার, সাইফুর রহমান ও মিসকাত সিকদার।
মহানগরের ২৬ জন যুগ্ম সদস্য সচিব হলেন, আরমান শাহরিয়ার শৌরভ, নবাব সলিম উল্লাহ পাপ্পু, মো. এনামুল হক, সুলতানুল আরেফিন, মো. মাইনুল হাসান, ইফতেখার হোছাইন, মাশফিকুর রহমান তুর্জয়, মোসদালিফা অভি, ফাবিউন্নেছা ফাবিহা, মোহাম্মদ তাওসিফ ইমরোজ, মো. রিয়াদুল ইসলাম, শাহরিয়ার তাহসিন, রিয়াজ মোহাম্মদ সাকিব, সাজ্জাদ হোসাইন, ওমর ফারুক সালমান, মুহাম্মাদ ফোরকান, রাশদান, বায়াত উল্লাহ বায়াত, আছির হামিম ইশমাম, রাহাদুল ইসলাম, হিজবুল্লাহ আল মুজাহিদ, সাখাওয়াত কবির চৌধুরী, মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, শাহরিয়ার হোসেন, সৈয়দ নুর ও সোহান তানজিম।
এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াছির আরফিন চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. রইছ উদ্দিনকে সদস্যসচিব করে ১১২ সদস্যের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটি দেওয়া হয়েছে। এতে মুখ্য সংগঠক হয়েছে মো. শওকত আকবর, মুখপাত্র রবিউল হাসান শাফি। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জোবাইর হোসেনকে আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলামকে সদস্যসচিব করে ৩২৭ সদস্যের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জোবায়রুর আলম মানিক, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হাসান আল বান্না ও মুখ্য সংগঠক প্রান্ত বড়ুয়া। কমিটির অন্যান্যরা যুগ্ম আহ্বায়ক, যুগ্ম সদস্য সচিব, সংগঠক ও সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে পদযাত্রা: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে নতুন তিন কমিটিতে থাকা নেতা–কর্মীরা গণপদযাত্রা করেছেন। চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম উত্তরের ব্যানারের এই কর্মসূচি হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটায় নগরের ২ নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যান থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। পরে এটি ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড়, ওয়াসা হয়ে কাজীর দেউড়ি গিয়ে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়। সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর শাখার আহ্বায়ক রিজাউর রহমান বলেন, আমাদের কমিটির যে পদ রয়েছে এটি শুধু পদ নয়। এটি একটি দায়িত্ব। এই দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করাই হবে আমাদের একান্ত কর্তব্য। এই কর্তব্য নিয়ে আমরা এসেছি ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদী রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে। পদযাত্রায় বৈষম্যবিরোধী নেতা–কর্মীরা বলেন, আওয়ামী লীগের মতো দলের আর বাংলাদেশের রাজনীতি করার অধিকার নেই। তারা অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চান।