অনন্য সুন্দর একটি অনুষ্ঠান উপভোগ করলাম ৯ আগস্ট। ক্ষ্যাপা শ্রাবণ যেন সবার মনে ভালোবাসার প্লাবন বইয়ে দিয়েছে। প্রায় ৩৫০ বন্ধু এবং তাদের সাথীর (স্ত্রী) একটা সুন্দর হৃদয়ের অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে। দুরন্ত অষ্টাদশ যেন মেতে উঠেছে দুরন্তপনায়। তারা যেন ফিরে গেছে ৩৮ বছর পেছনে। ৯ আগস্ট ছিল চবি অষ্টাদশ ব্যাচের নতুন কমিটির হাতে পুরনো কমিটির দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া এবং অভিষেক অনুষ্ঠান। ঢাকা–কুমিল্লাসহ ভিন্ন অঞ্চল থেকে বন্ধুরা এসে যোগ দিয়েছেন অনুষ্ঠানে। চিটাগাং ক্লাবের নবনির্মিত অডিটোরিয়ামে সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন বিদায়ী পরিষদ। বিকালে ছিল বৈকালিক নাস্তার আয়োজন। মাগরিবের নামাজের পর সূচনা হয় অনুষ্ঠানের। একজন পেশাজীবী গায়িকার গান দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তিনি বেশ কয়েকটি বাংলা এবং ভারতীয় গান করেন। এরপর ১৮ ব্যাচের বন্ধু তৌফিক বাবু, বন্ধু ইকবাল মাহমুদ, বন্ধু রিফাত, বন্ধু বিজনের,পরিবেশনা সবার মুগ্ধতা যেন পিন পতন নীরবতায় প্রকাশ পায়। এরপর শুরু হয় গজল সন্ধ্যা। খ্যাতনামা কাওয়াল শাহজাহান খান অনেকগুলি গজল পরিবেশন করেন। সাথে তিনি মেহেদী হাসানের গজল, পঙ্কজ উদাসের গজল, নিয়াজ মহম্মদের গজল পরিবেশন করেন। গানের সুর ছন্দ সবাইকে আবেগপ্রবণ করে তোলে। কারো কারো বিষণ্নতা দুঃখও কাজ করছিল। অনেকের শূন্য হৃদয় যেন ভালোবাসার জন্য তৃষ্ণার্ত ছিল। একটা একটা ঢেউ যেন বুকের পাড় ভেঙে দিচ্ছিল। তবে অনেক বন্ধুর নৃত্য ছিল দেখার মত। বিশেষ করে বন্ধু ইমতিয়াজের নাচ ছিল অপূর্ব। রাত দশটার পরে সার্ভ করা হলো ডিনার। সবশেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হলো। আমরা সবাই যে যার বাসায় ফিরে আসলাম স্বপ্নের এক অদ্ভুত দোলা চলে।