চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৩৭তম সিন্ডিকেট সভার সকল সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অবরোধ করেছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। গতকাল শনিবার সন্ধা ৭টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে এ দাবি জানান তারা। শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপ-গ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) কর্মীরা এ আন্দোলন করেন। এ সময় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে আন্দোলন থেকে সরে আসে ছাত্রলীগ। এরপর রাত সাড়ে ৯টায় শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে এলে ট্রেনের লোকোমাস্টারকে অপহরণ করা হয়। তবে কারা এই কাজ করেছে তা জানা যায়নি। পরে চাপের মুখে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। অপহৃত দুজন হলেন লোকোমাস্টার ওয়ালী উল্লাহ ও সহকারী লোকোমাস্টার রবিউল আওয়াল সম্রাট।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, চবির রাতের শাটল ট্রেনটি ক্যাম্পাসে পৌঁছালে লোকোমাস্টার ওয়ালী উল্লাহ ও সহকারী লোকোমাস্টার সম্রাটকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। অপহরণের পর তাদের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে চাপের মুখে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
লোকোমাস্টার ওয়ালী উল্লাহ রাত সাড়ে ১০টার দিকে বলেন, ট্রেনটি ক্যাম্পাসে পৌঁছালে ৬-৭ জন ব্যক্তি আমাদের অপহরণ করে। প্রায় ৪৫ মিনিট পর ছেড়ে দেওয়া হয়। আমরা এখন ট্রেন নিয়ে বটতলীর দিকে চলে যাচ্ছি।
শাখা ছাত্রলীগের ভিএঙ উপ-গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, সিন্ডিকেটে শুধু ফারসি বিভাগের নিয়োগটি বাতিল করা হয়েছে। যেহেতু একটি নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে, সেহেতু অন্য পদগুলোর ক্ষেত্রেও অর্থ লেনদেনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমরা আজকের পুরো সিন্ডিকেটই বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, আমরা সেখানে গিয়েছি। তাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম রাত সাড়ে ১০টায় আজাদীকে বলেন, লোকোমাস্টারকে কিছুক্ষণ আটকে রাখা হয়েছিল। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এখন সব স্বাভাবিক রয়েছে।