চট্টগ্রাম বিভাগে রেলের ক্ষতি ১৬ কোটি টাকা

দ্বিতীয় দফা বিধিনিষেধের ৪৯ দিন

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২ জুন, ২০২১ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

করোনা মহামারীর কারণে চলা দ্বিতীয় দফা বিধিনিষেধ বা লকডাউনের ৪৯ দিনে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের ক্ষতি হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। লকডাউনের কারণে গত ৫ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত বন্ধ ছিল রেলওয়ের সকল প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেন। স্বাভাবিকভাবে সকল ট্রেন চলাচল করলে রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগে প্রতিদিন গড়ে টিকিট বিক্রি বাবদ আয় হয় ৩৩ লাখ টাকা। একদিন বন্ধ থাকলে টিকিট বিক্রির এই রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয় রেল। তবে করোনার কারণে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও খাদ্য, পণ্যবাহী ও তেলবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ৪৯ দিনে খাদ্য ও পণ্যবাহী ট্রেন থেকে ৯ কোটি টাকা আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এক সময়ে খুঁড়িয়ে চলা পণ্যবাহী ট্রেন লকডাউনে চমক দেখিয়েছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলী আজাদীকে জানান, পূর্বাঞ্চলে প্রতিদিন ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেনসহ সকল মেইল ও লোকাল ট্রেন মিলে টিকিট বিক্রি থেকে দৈনিক ৩৩ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হতো। গত ৫ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত ৪৯ দিন বন্ধ থাকায় আমরা প্রতিদিন ৩৩ লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছি। তবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকায় এই ৪৯ দিনে প্রায় ৯ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
পণ্যবাহী ট্রেনে এত টাকা আয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, করোনাকালীন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী, খাদ্যবাহী ও তেলবাহী ট্রেনে ইঞ্জিনের সংকট ছিল না। তার ওপর লাইন ক্লিয়ার ছিল। দ্রুত গতিতে যাতায়াত করতে পেরেছে। এই কারণে পণ্যবাহী, খাদ্যবাহী ও তেলবাহী ট্রেন চলাচলে গতি ছিল।
রেলওয়ের পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করে। সংক্রমণ রোধে অন্যান্য যানবাহনের সাথে ট্রেন চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করে। ফলে ৫ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগে চলাচল করা ১১ জোড়া ট্রেন বন্ধ থাকে ৪৯ দিন।
সরকার লকডাউন শিথিল করায় ২৪ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে (অর্ধেক আসনে) সকল আন্তঃনগর ট্রেন ও বাস চলাচল শুরু হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকায়িক পরীক্ষায় পাওয়া গেল ৪২ টন নিষিদ্ধ পপি সিডস
পরবর্তী নিবন্ধ১৭ লক্ষ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব অর্থনীতি সমিতির