চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড় ধসের শঙ্কা

২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৮ জুলাই, ২০২৫ at ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

নগরে গতকাল দিনভর আকাশ ছিল মেঘলা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তি হয়েছে পথচারীদের। এদিকে আজ মঙ্গলবারও বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে চট্টগ্রামসহ তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি পাহাড় ধস হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়। এছাড়া সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়।

জানা গেছে, গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। একইদিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আমবাগান আবহাওয়া অফিস রেকর্ড করে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। একই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ ১৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে কক্সবাজার জেলায়।

গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তায় বলা হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিম বঙ্গ তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সতর্কবার্তায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সকাল ১০টায় ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্তকবার্তায় বলা হয়, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করা হয়।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. ইসমাঈল ভূঁইয়া জানান, আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের ও কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী অথবা অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকাসমূহের কোথাও কোথাও পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে এবং নগরের কোথাও কোথাও অস্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউচ্চ বিদ্যালয় বৃষ্টি হলেই মাঠ ও নিচতলা জলাবদ্ধ,ভোগান্তি
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচনে কোন দল কত শতাংশ ভোট পেতে পারে