আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে যুক্ত না থেকেও কিংবা সেখানে আহত না হয়েও জুলাই যোদ্ধার আহতের তালিকায় নাম থাকা ১০৫ জনের গেজেট বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে দ্বৈততার কারণে গেজেটে থাকা আরও ২৩ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় এ দুই কারণে মোট ১২৮ জন ‘জুলাই যোদ্ধার’ গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করার তথ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
মন্ত্রণালয় গেজেট বাতিলের পাশাপাশি একই সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যারা এ তালিকায় নাম উঠিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে। যারা তাদেরকে তালিকাভুক্ত করতে সহায়তা করেছেন ও বেআইনিভাবে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এতে বলা হয়, জেলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯ জনের নাম গেজেট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিলেট বিভাগের ২৭ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ২১ জন, ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩ জন, খুলনা বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের ৩ জন, বরিশাল বিভাগের ২ জনের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ১ হাজার ৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে গেজেট প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার। চিকিৎসার পরও যারা অন্যের সহায়তা ছাড়া জীবনযাপনে অক্ষম, সেরকম ৪৯৩ জনকে অতি গুরুতর বিবেচনায় ‘ক’ শ্রেণিতে রাখা হয়। আর পর্যাপ্ত চিকিৎসার পরও শারীরিক অসামর্থ্যতার কারণে অন্যের আংশিক সহায়তায় জীবন যাপনে সক্ষম ৯০৮ জনকে ‘গুরুতর আহত’ বিবেচনায় ‘খ’ শ্রেণিতে রেখে তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯ জন যাদের গেজেট বাতিল হয়েছে : চট্টগ্রাম জেলার মো. সাগর, শ্রেণি–খ, গেজেট নাম্বার ৩২৮, আবদুল্লাহ আল নোমান, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার ৪৬৯, নাঈম উদ্দীন সাইদ, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার ৪৯২, মোহা. শরিফুল ইসলাম, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার–৫১৫, শাহাদাত ইকরাজ তাহনি, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার– ৫২১, তাহমিনা ইকরাম, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার ৫২২, মাহিবী তাজওয়ার, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার ৫৩৪, জসিম উদ্দিন, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার ৫৪২, মো. আতিকুল ইসলাম শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার ৫৫২, মো. ইয়াছিন, শ্রেণি–গ গেজেট নাম্বার ৫৬০, আরফাতুল ইসলাম, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার ৫৯৫, ফরহাদ আলম, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার– ৬০১, মোহাম্মদ সাজ্জাদ কবির এমরান, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার– ৬০৩, মুনতাসিরুল হক চৌধুরী মামুর, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার– ৬১৬, পবন চন্দ্র নাথ, শ্রেণি–গ গেজেট নাম্বার ৬২২, মিশকাত আলম রিয়াদ, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার ৬৭৫, মো. এমরান, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার ৭১৭, মোহাম্মদ সাগর, শ্রেণি–গ গেজেট নাম্বার ৭৬৮, নূরুল্লাহ, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার ৭৮৯, মোহাম্মদ রাফি, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার ৭৯৯, ফয়সাল মোহাম্মদ শিহাব, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার ৮০২, মোছা. ইছনিয়া আকতার, শ্রেণি–গ গেজেট নাম্বার–৮২৪, মো. মাঈনুদ্দীন, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার–৮২৫, সাইমন, শ্রেণি–গ গেজেট নাম্বার–১৯৭৩, মো. আরিফ, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার–১৯৭৬, রাসেল, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার–১৯৮৬, রমজান আলী, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার–১৯৮৭, মাহিম চৌধুরী, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার–১৯৯১, রিফাত বিন আল, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার –১৯৯৯, লক্ষ্মীপুর জেলার মো. হাছান, শ্রেণি– ক, গেজেট নাম্বার–২৫৮, আবু জুহামুল ইসলাম, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার–১৮৮১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মো. তানভির হোসেন, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার– ৪৩৭, চাঁদপুর জেলার মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল নুর, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার– ১০৪৮, নোয়াখালী জেলার শেখ মো. রাশেল, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার– ১০৬৮, মো. জসিম উদ্দিন, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার –১০৭৮, মো. বেলায়েত হোসেন, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার–১১০০, মো. গিয়াস উদ্দিন, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার –১১৬৩, মো. নাজিম মিয়া, শ্রেণি–গ, গেজেট নাম্বার –১১৮১ এবং মো. ইমাম হাসান, শ্রেণি– গ, গেজেট নাম্বার –১১৮২।












