বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলায় সাজা দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, মহানগর সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দিন, চমেক সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়েজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী এবং মহানগর সাধারণ সম্পাদক ডা. ইফতেখারুল ইসলাম। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সরকারি নীলনকশায় ‘মিথ্যা’ মামলায় ফরমায়েশি রায়ে সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ দুদকের এই মামলা চলার মতো কোনো আইনগত উপাদান ছিল না। কেননা, তারেক রহমানের প্রদেয় সম্পদ বিবরণী যা ২০০৭ সালে জমা দেয়া হয়েছিল সেই সম্পদের পুরো আয়কর জমা দেয়া হয়েছিল। ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে ৩৫ লাখ টাকা এফডিআর, ওই এফডিআর মামলা দায়েরের আগেই (২০০৫–২০০৬) অর্থবছরের ট্যাঙ রিটার্ন দেয়া হয়েছিল। তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ আদালতে চলমান এই মামলায় অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে সাক্ষী নিয়ে রায় প্রদানের জন্য দিন ধার্য করা হয়। দেশে লাখ লাখ মামলার জট থাকলেও তাদের এই মামলায় ১৬ দিনে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। রাত ৮টা, ৯টা পর্যন্ত একতরফাভাবে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপির আইনজীবীরা এ ধরনের বিচার কাজের বৈধতার বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে গেলে তাদের ওপর পুলিশ ও সরকারদলীয় আইনজীবীরা একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের মামলার সাজা চলমান আন্দোলনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। অতীতে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অনেক নেতাকে ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছে। তাই সরকার এই সাজা দিয়ে কোনোভাবেই বিএনপির একদফার আন্দোলন বন্ধ করতে পারবে না। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেই বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে।