ফেইসবুকে মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের জেরে চট্টগ্রাম বন্দর মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তার শেলীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) মমিনুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সেলিনা আক্তার শেলীকে বরখাস্তের বিষয়টি জানানো হয়।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘ফেইসবুকে এক পোস্ট নিয়ে বির্তক হওয়ায় উনাকে সাময়িক বরখাস্ত এবং বিভাগীয় মোকদ্দমা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’ খবর বিডিনিউজের।
বন্দর কর্তৃপক্ষের নোটিসে বলা হয়েছে, ‘ফেইসবুকে পবিত্র রমজান মাসের আরবি উচ্চারণ ‘রামাদান’কে কটাক্ষ করে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। তার প্রেক্ষিতে অসংখ্য মানুষ আপনার পোস্টের মন্তব্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া জানায়।
আপনার পোস্টে আঘাত লাগায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর ভেতরে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে এবং বন্দর এলাকায় এর প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ আয়োজনসহ আইনশৃক্সখলা পরিস্থিতির অবনতি হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সামপ্রদায়িক উসকানিসহ সরকারকে অস্থিতিশীল ও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’
বরখাস্তের ওই আদেশে বলা হয়, ওই শিক্ষকের আচরণ ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট–২০১৮ এর ২৮ ও ৩১ ধারা অনুযায়ী ফৌজদারী অপরাধ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নীতিমালা ২০১৯ এর বিধি ৬ দশমিক ২ ও বিধি ১০ এর সুষ্পষ্ট লক্সঘন এবং বন্দর চাকরি প্রবিধানমালা ১৯৯১ এর ৩৯ (খ) মোতাবেক সুষ্পষ্ট অসদাচরণ এবং গুরুদণ্ডযোগ্য অপরাধ।’ এ প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার কথা জানিয়ে নোটিসে বলা হয়, ওই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বন্দর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তার শেলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেলিনা আক্তার শেলী শিক্ষকতার পাশাপাশি নিয়মিত কবিতা লেখেন। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে তিনি কবি সেলিনা শেলী হিসেবেও পরিচিত।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি।