দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে আগেরবারের চেয়ে ২৮২টি জাহাজ কম এসেছে; তবে বেড়েছে কন্টেনার ওঠানামা ও কার্গো হ্যান্ডলিং। বৈশ্বিক মন্দা ও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব কাটিয়ে ওঠায় কন্টেনার ও কার্গো (খোলা পণ্য) হ্যান্ডলিং বাড়ার কথা বলেছেন চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক। খবর বিডিনিউজের।
বন্দরের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, সদ্য সমাপ্ত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউএস কন্টেনারের ওঠানো–নামানো হয়েছে, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩৪৬টি বেশি। অর্থাৎ এক বছরে কন্টেনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর আগের ২০২২–২৩ অর্থবছরে আমদানি–রপ্তানি মিলিয়ে কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয় ৩০ লাখ ৭ হাজার ৩৪৪ টিইইউএস, যা ২০২১–২০২২ অর্থবছরে ছিল ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৮ টিইইউএস।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের সঙ্গে বেড়েছে কার্গো হ্যান্ডলিংও। সদ্য বিদায় নেওয়া ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ১২ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৭৪৮ টন পণ্য হ্যান্ডলিং হয়েছে, সেখানে এর আগের অর্থবছরে যা ছিল ১১ কোটি ৮২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪৩ টন পণ্য। অর্থাৎ এক বছরে কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫ মেট্রিক টন; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
বিদায়ী অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ এসেছে ৩ হাজার ৯৭১টি, গতবারের তুলনায় যা ২৮২টি কম। ২০২২–২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজ ভেড়ে ৪ হাজার ২৫৩টি। ওই সময়ের হিসাবে জাহাজ আসার হার ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ কমেছে।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘জাহাজ আসার সংখ্যা কমা সে অর্থে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আগে ছোট–বড় মিলিয়ে জাহাজ আসত। কিন্তু এখন বড় জাহাজে করে বেশি সংখ্যক কন্টেনার ও পণ্য আসছে। এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক। গত অর্থবছরে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ কমেছিল কিন্তু এবারে বেড়েছে।’