চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার জটের সামান্য উন্নতি হলেও অবনতি ঘটছে জাহাজ জটের। গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ১৬টি কন্টেনার জাহাজ অলস বসেছিল। এরমধ্যে গত এক সপ্তাহ ধরে বসে আছে এমন জাহাজও রয়েছে। সাম্প্রতিক অস্থিতিশীলতাসহ সার্বিক পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এতে বন্দরে কন্টেনার জট দেখা দেয়। বন্দরের ইয়ার্ডে স্বাভাবিক সময়ে গড়ে ৩০/৩১ হাজার টিইইউএস কন্টেনার থাকলেও পরিস্থিতির কারণে তা ৪৪ হাজারে গিয়ে ঠেকে। গতকাল জট পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ইয়ার্ড থেকে কন্টেনার ডেলিভারি বৃদ্ধি এবং পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক হয়ে আসায় আটকে থাকা কন্টেনারের সংখ্যা কিছুটা কমে এসেছে। গতকাল বন্দরের ইয়ার্ডে ৪০ হাজার ৫২৮ টিইইউএস কন্টেনার ছিল।
কন্টেনার জট পরিস্থিতির সামান্য উন্নতির মাঝে জাহাজ জট বেড়েছে। ইতোপূর্বে সর্বোচ্চ ১৫টি জাহাজ অলস বসে থাকলেও গতকাল জাহাজের সংখ্যা ১৬টিতে উন্নীত হয়। গতকাল ১১টি গিয়ার লেস (ক্রেন ছাড়া) জাহাজ ছিল। যেগুলো গ্যান্ট্রি ক্রেন আছে কেবলমাত্র ওই জেটিগুলোতে বার্থিং দিতে হবে। এসব জাহাজের মধ্যে গত ৮ আগস্ট বন্দরে এসেছে এমন জাহাজও রয়েছে। ক্রেন আছে এমন গিয়ারড ভ্যাসেল রয়েছে ৫টি। এরমধ্যে ১২ আগস্ট এসেছে এমন জাহাজও রয়েছে।
একটি জাহাজ একদিন অলস বসে থাকলেও অন্তত ১৫ হাজার ডলার এফওসি (ফিঙড অপারেটিং কস্ট) বাবদ গচ্চা দিতে হয়। যার যোগান দিতে হয় দেশের সাধারণ ভোক্তাকে।