চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে জাহাজ আনা-নেওয়ায় বিঘ্ন ঘটছে ঘন কুয়াশার কারণে। বঙ্গোপসাগর থেকে কর্ণফুলী নদী হয়ে জাহাজ আনা-নেওয়ায় কয়েকদিন ধরে এ সমস্যা হলেও এখনও পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী। বাংলানিউজ
তিনি বলেন, “প্রতি বছর শীত মৌসুমে এ ধরনের বিঘ্ন ঘটে। নদীতে বেশি কুয়াশার সময় দৃশ্যমানতা একেবারে কমে যায়। এ সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় পাইলট ও বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজ আনা-নেওয়া বন্ধ রাখে। কয়েকদিন ধরে কুয়াশার কারণে শিডিউল রক্ষা করা যাচ্ছে না।”
সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ঘন কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটিতে পণ্য খালাস শেষে বহির্নোঙরে পাঠানো হয়েছে ৬টি জাহাজ। দুপুরে কুয়াশা না থাকলেও নদীতে জোয়ার ছিল না।
বিকেল পাঁচটার পর আবার জোয়ার এলে বহির্নোঙর থেকে বন্দরের সিসিটি ১, সিসিটি ৩ এবং এনসিটিতে মোট তিনটি জাহাজ আনা সম্ভব হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের সিসিটি, এনসিটি ও জিসিবির ১১, ১২, ১৩ নম্বর জেটিতে সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) জাহাজ ভিড়তে পারে। জিসিবির বাকি জেটিগুলোতে জাহাজ ভিড়তে পারে ৮ দশমিক ৫৫ মিটারের ড্রাফটের।
নাইট নেভিগেশনে বা সূর্যাস্তের পর ড্রাফটের ক্ষেত্রে অনুমোদিত সীমার চেয়ে কিছুটা কম নির্ধারণ করা হয়েছে।
মূলত বিদেশ থেকে পণ্য নিয়ে জাহাজ প্রথমে বন্দরের বহির্নোঙরে আসে। এরপর জেটি খালি থাকা সাপেক্ষে জাহাজগুলো বন্দরের মূল জেটিতে আনা হয় জোয়ারের সময়।
বহির্নোঙর থেকে মূল জেটিতে আনা-নেওয়ার সময় জাহাজ পরিচালনা করেন বন্দরের নিজস্ব পাইলটরা। এ সময় সহায়তা নেওয়া হয় শক্তিশালী টাগবোটেরও।