চট্টগ্রাম বন্দরে বহির্নোঙরে জাহাজের গড় অবস্থানকাল কমে ০–২ দিনে এসেছে। একসময় যেখানে জাহাজগুলোর গড় অবস্থানকাল ছিল ৭–৮ দিন, সেখানে এখন তা নেমে এসেছে ০–২ দিনে। এ অবস্থার ফলে আমদানি–রপ্তানিসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
২০২৪–২৫ অর্থবছরে সর্বাধিক কন্টেনার হ্যান্ডলিং ও রেকর্ড সৃষ্টি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন, নিত্যনতুন ইয়ার্ড নির্মাণ,
গাড়ি সংযোজন, শেড সংস্কার এবং টার্মিনাল সমপ্রসারণের ফলে এ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউএস থেকে বৃদ্ধি করে প্রায় ৫৯ হাজার টিইইউএসে উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া আরো কয়েকটি ইয়ার্ডের সংস্কার এবং সম্প্রসারণ শেষে বন্দরের কন্টেনার ইয়ার্ডের ধারণক্ষমতা ৬২ হাজার টিইইউএস উন্নীত হবে বলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
২০২০ সালের এপ্রিল মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে বহির্নোঙরে জাহাজের গড় অবস্থানকাল ছিল ৮.৬৯ দিন। সে সময় গড়ে প্রতিদিন ২৩.৩৩টি জাহাজ বহির্নোঙরে অপেক্ষায় থাকত এবং সর্বাধিক অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যা ছিল ৩৪টি। কিন্তু ২০২৪ সালের আগস্টে জাহাজের গড় অবস্থানকাল ৪.৮৪ দিনে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এ সময় গড় অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যা ছিল ১৪.০৩ এবং সর্বাধিক জাহাজের সংখ্যা ছিল ১৯টি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে বহির্নোঙরে কন্টেনার জাহাজের গড় অবস্থানকাল মাত্র ০–২ দিন। গতকাল বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সংখ্যা ৪–৫টির মধ্যে সীমিত রয়েছে।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে আমদানি–রপ্তানিকারকরা আরও দ্রুত কন্টেনার খালাস ও ডেলিভারি নিতে পারবেন। এর ফলে বাণিজ্য কার্যক্রম আরও সহজ হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও তারা মনে করেন। চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক উপরোক্ত তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন।