বন্দরকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চাঁদাবাজি তো দূরের কথা, বন্দর নিয়ে আমি কখনো কাউকে ফোন বা তদবির করিনি। অতীতে কারা চাঁদা নিতো, সুনির্দিষ্ট করে বলতে না পারলে চট্টগ্রামে আসতে দেব না, এটা ফোনেই উপদেষ্টাকে বলেছি। আমি চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে সুনির্দিষ্ট নাম পেলে সেই চাঁদাবাজদের প্রতিহত করব। সেই সৎ সাহস আমার আছে। গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের কর্ণফুলী হলে আয়োজিত অন্তবর্তীকালীন কমিটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব মন্তব্য করেন। খবর বাংলানিউজের।
মেয়র বলেন, নৌপরিবহন উপদেষ্টার বক্তব্যের পর কিছু পত্রিকা লিখেছে, মেয়ররা নাকি চাঁদার ভাগ পেতেন। আমি তা দেখেই তাৎক্ষণিক উনাকে ফোন করি। তিনি বলেন, অতীতে যারা মেয়র ছিলেন তারা জড়িত ছিলেন। তাহলে নাম বলুন, কারা তারা? প্রতিদিন যদি দুই–আড়াই কোটি টাকা চাঁদা ওঠে, মাসে ৬০ কোটি, বছরে ৭২০ কোটি টাকা হয়। অথচ সিটি করপোরেশনকে ন্যায্য ২০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়া হয় না। মেয়র বলেন, বন্দরের ভারী মালবাহী ট্রাক–ট্রেইলারের চাপ সড়কের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।
আমার রাস্তাগুলো ৭–৮ টন বহনের উপযোগী। সেখানে ২০–৪০ টনের গাড়ি চলছে। প্রতি বছর ৪০০–৫০০ কোটি টাকা শুধু রাস্তায় খরচ করতে হয়। ন্যায্য ট্যাক্স না দিয়ে উল্টো চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হচ্ছে, কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।












