চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত মাশুল স্থগিতের আহ্বান সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের

| মঙ্গলবার , ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ at ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এক বিবৃতিতে বলেন,ব্যবসায়ীদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন মাশুল সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, যা ১৩ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। নতুন এ মাশুলে আগের তুলনায় গড়ে প্রায় ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতেই এই মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বিবৃতিদাতারা হলেন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক জাহিদুল করিম কচি ও সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী। তারা বলেন, ২৯ বছরের ব্যবসায়িক জীবনে কখনো চট্টগ্রাম বন্দরের লোকসান দেখিনি। তাহলে হঠাৎ এত বড় হারে ট্যারিফ বাড়ানোর যৌক্তিকতা কোথায়? ব্যবসায়ীদের পক্ষে এই বাড়তি ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। আমরা ইউরোপআমেরিকায় পণ্য রপ্তানি করি, যেখানে প্রতিযোগী দেশগুলো, ভিয়েতনাম, ভারত ও মালয়েশিয়া ইতিমধ্যে উৎপাদন ও পরিবহন খরচ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে উল্টো খরচ বাড়িয়ে নিজেদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছি, যা দেশের অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী।

জাহিদুল করিম কচি ও সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী বলেন, মোংলা ও পায়রা বন্দরে মাশুল বাড়ানো হয়নি, অথচ শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বন্দরে গড়ে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে, কোনো কোনো খাতে তা ছয় গুণ পর্যন্ত।

এই অতিরিক্ত মাশুলের বোঝা শেষ পর্যন্ত বহন করবেন দেশের সাধারণ মানুষ, দিনমজুর, শ্রমিক ও ভোক্তারা। তারা বর্ধিত মাশুল স্থগিত রেখে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় তালা ভেঙে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানে পুড়েছে চার বসতঘর