চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড ও টার্মিনালে কন্টেনারের চাপ

জমেছে ৪৫ হাজারের বেশি

| বুধবার , ২৮ মে, ২০২৫ at ৮:১৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড ও টার্মিনালে কন্টেনারের চাপ বাড়ছে। ২০ ফুট মাপের হিসাবে যেখানে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৫৩ হাজার ৫১৮টি, সেখানে গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত জমেছে ৪৫ হাজার ৩৭৭টি কনটেইনার। আগের দিন সোমবার কন্টেনার ছিল ৪৩ হাজার ৮২৭টি। বন্দরের পরিবহন বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খবর বাংলানিউজের।

সূত্র জানায়, গতকাল সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বন্দর থেকে ডেলিভারি হয়েছে ৩ হাজার ৫৩৯ টিইইউএস। এ সময় বন্দরে হ্যান্ডলিং হয়েছে ৯ হাজার ৫২০ টিইইউএস। এর মধ্যে জাহাজ থেকে নেমেছে ৬ হাজার ৫১১ টিইইউএস, জাহাজে তোলা হয়েছে ৩ হাজার ৯ টিইইউএস। সোমবার ডেলিভারি হয়েছিল ৩ হাজার ৭৫৫ টিইইউএস।

বন্দরে ৪০ ফুট ও ২০ ফুট লম্বা কন্টেনারে আমদানিরপ্তানি পণ্য পরিবহন করা হয়। হিসাবের সুবিধার্থে ৪০ ফুট কন্টেনারকে ২ একক (টিইইউএস) ধরা হয়। বহির্নোঙরে চাল, ডাল, সিমেন্ট ক্লিংকার, সয়াবিনসহ সব ধরনের খোলা পণ্যে (বাল্ক কার্গো) লাইটার জাহাজে খালাস হলেও কনটেইনার খালাসের সুযোগ নেই।

এক্ষেত্রে বন্দরের মূল জেটি জিসিবি, সিসিটি, এনসিটি, পিসিটিতে এসব জাহাজ ভেড়ানোর পর কন্টেনার লোডআনলোড করতে হয়। সমস্যা হলো, সাগর থেকে যখনতখন এসব জাহাজ জেটিতে আসাযাওয়া করতে পারে না। কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। শুধু জোয়ারের সময় অভিজ্ঞ পাইলটের তত্ত্বাবধানে এসব জাহাজ জেটিতে আনানেওয়া করা হয়।

গতকাল সকাল পর্যন্ত বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজ ছিল ৮৭টি। বহির্নোঙরে পণ্য খালাস হয়েছে ৪৯টি কার্গোবাহী (খোলা পণ্য) জাহাজে। অপেক্ষমাণ ছিল ১৩টি কন্টেনারবাহী জাহাজ। জেটিতে কন্টেনার লোডআনলোড হয়েছে ১২টি জাহাজে।

বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে দফায় দফায় কর্মবিরতির কারণে শুল্কায়নে ধীরগতির প্রভাব পড়েছে কন্টেনার খালাসে। বন্দর থেকে ডেলিভারি বাড়লে কন্টেনার জট কমে যাবে। তবে যেহেতু সামনে পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ছুটি শুরু হবে শিল্পকারখানাগুলোতে, তাই সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে, যাতে বন্দরের কন্টেনার খালাস দ্রুত ও নির্বিঘ্ন করা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল, জামায়াত নেতা এটিএম আজহার বেকসুর খালাস
পরবর্তী নিবন্ধদেশের মাথাপিছু আয় ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮২০ ডলার