চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে ‘কৌশলপত্র’ প্রণয়ন করছেন কলামিস্ট, গবেষক ও রাজনীতি বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার। এটি শিগগিরই সরকারের হাতে তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘সরকারের নৌ–উপদেষ্টা আমাদের প্রিয়জন। আশা করছি, উনি আমাদের পরামর্শকে গুরুত্ব দেবেন। ভারতের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে করা চুক্তি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, বন্দরে কথায় কথায় বিদেশীদের ডেকে আনতে হবে কেন? আমাদের বন্দর আমরা নিজেরাই চেষ্টা করি। আমরা একটা কৌশলপত্র প্রণয়নের কাজে হাত দিয়েছি। নিজেরাই এটা সম্পন্ন করে সরকারকে দিবো। গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ফরহাদ মজহার বলেন, ভারত, চীন ও মিয়ানমার আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ভারত যদি আমাদের মিত্র দেশই হতো তবে তারা আলাদা দেশ না থেকে একত্রেই থাকতো। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ভারতসহ যে কোন দেশ আমাদের শত্রুদেশে পরিণত হতে পারে। ভারতকে যে দিনই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কানেক্টেভিটি দেয়া হলো সে দিনই আমরা এই বন্দরের উপর সার্বভৌমত্ব হারিয়েছি। সুতরাং সবার বুঝতে হবে, ভারত যত কম শুল্কে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারে সেই চেষ্টাই করবে, এটা হতে দেয়া যাবে না।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্র্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব ও আমার দেশের আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মেজর (অব.) আহমেদ ফেরদৌস, নিরাপদ নৌপথ আন্দোলনের সদস্য সচিব আমিন রসুল বাবুল, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্র্বর্তী কমিটির সদস্য ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক ওয়াহিদ জামান, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
