এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে যেন এখন সাজ সাজ রব। নানা রঙের ব্যানার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ। আর এসবের উপলক্ষ্য চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির নির্বাচন। দেশের কোন খেলোয়াড় সমিতির নির্বাচন এতটা উৎসব মুখর হয়েছে কিনা জানা নেই। শুধু তাই চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে এতটা উৎসব মুখর নির্বাচনও হয়নি অতীতে কখনো। যেখানে নির্বাচনই নেই সেখানে আবার উৎসব মুখর হওয়ার প্রশ্ন আসে কোথা থেকে। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সবশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০১১ সালে। এরপর ক্ষমতা বদল হয়েছে কিন্ত নির্বাচন হয়নি। তবে এবারের চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির নির্বাচনটা অবশ্য ক্রীড়াঙ্গনে অন্য মাত্রা দিল। আজ অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রত্যাশিত সে নির্বাচন। চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতি প্রতিষ্ঠার ৩৮ বছরে প্রথমবারের মত নির্বাচন হতে যাচ্ছে। যেখানে প্রায় ২০১৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। ৩৫টি পদের জন্য সরাসরি দুই প্যানেলে নির্বাচন করছেন ৭০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী। এছাড়া প্যানেলের বাইরে নির্বাচন করছেন একজন। সদস্য পদে মাসুদুর রহমান এককভাবে নির্বাচন করছেন।
নির্বাচনে এক প্যানেলের নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দুই সাবেক অধিনায়ক নাসির উদ্দিন এবং মামুনুল ইসলাম মামুন। যেখানে নাসির সভাপতি পদে এবং মামুন সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াই করছেন। আরেক প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু এবং হাসান মুরাদ। যেখানে মঞ্জু সভাপতি এবং হাসান সাধারন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। মঞ্জু আবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর। এই প্যানেলের একজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হলেন অর্থ সম্পাদক পদে দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু। মঞ্জু-হাসান প্যানেলের অন্যরা হলেন সিনিয়র সহ সভাপতি পদপ্রার্থী আবু সরওয়ার চৌধুরী। সহ সভাপতি পদ প্রার্থী যথাক্রমে তুষার কান্তি বড়ুয়া, নাজিম উদ্দিন, শাহনেওয়াজ চৌধুরী এবং মোঃ আলী। অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক প্রর্থী হলেন কিশোর দত্ত মানু। যুগ্ম সম্পাদক পদে নাজিম উদ্দিন এবং শরীফ টুটুল। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ লোকমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হোসেন চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক নাছির উদ্দিন, সহ দপ্তর সম্পাদক অঞ্জন চক্রবর্তী, প্রচার সম্পাদক সোহেল হোসেন, ক্রীড়া ও বিনোদন সম্পাদক হায়দার কবির প্রিন্স, আপ্যায়ন সম্পাদক একরাম আফছার, পাঠাগার সম্পাদক আনসিুর রহমান মিরাজ, সংস্কৃতিক ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন ভুইয়া। এছাড়া সদস্য পদে যারা রয়েছেন তারা হলেন মোঃ ইব্রাহিম, মোদাচ্ছের বিল্লাহ, আবদুর রব মমিন, চেনামং রাখাইন, সুলতান মাহমুদ খান শাহীন, মোঃ ইকবাল, জহির উদ্দিন, মুজিবুল আলম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, মহসিন সাজু, মহসিন আলি বাদশা, জাফর ইকবাল, নিহার রঞ্জন দাশ, মোঃ রাশেদ, ইয়াকুব হোসেন ইতু। অপরদিকে নাসির-মামুন পরিষদে সিনিয়র সহ সভাপতি পদে রয়েছেন আজাদ উল্লাহ নিজাম। সহ সভাপতি পদে রয়েছেন আবদুল মান্নান, ফারুখ খান, আবদুল মাবুদ, সাখাওয়াত হোসেন রনি। অতিরিক্ত সাধারন সম্পাদক সাইদুল আলম বুলবুল। যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী হলেন কাজি মিজানুর রহমান, উদয়ন বড়ুয়া। সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, দপ্তর সম্পাদক মোঃ রাশেদ, সহ দপ্তর সম্পাদক ইয়াহিয়া পারভেজ, প্রচার সম্পাদক আবুল হাসনাত আজাদ, ক্রীড়া সম্পাদক হারুন বাবর, আপ্যায়ন সম্পাদক প্রবীর দে, পাঠাগার সম্পাদক শফিকুল আলম বশর, সাংস্কৃতিক এবং সমাজ কল্যান সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম মিন্টু। সদস্য পদে যারা নির্বাচন করছেন তারা হলেন সৈয়দুল হক, মীর হোসেন, তবদিল হোসেন আবুল, রিপন কিশোর রায়, আনিসুর রহমান, মোঃ হেলাল, মোঃ জসিম, মোঃ হায়দার মঈনুল ইসলাম, মোঃ ইকবাল হানিফ রশিদ, আবদুর রহিম, মোঃ ফরিদ, মামুনুর রশিদ, জাহাঙ্গীর আলম জাহেদ এবং আবদুল্লাহ আল নোমান হিরু। আজ সকাল নয়টা থেকে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১.১৫ টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহন। নামাজ এবং মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য ৪৫ মিনিট বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান মোঃ হাফিজুর রহমান জানান তিনি নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ভোট গ্রহনের জন্য ২০টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া আইন শৃংখলা রক্ষার জন্যও সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই সব ভোটারের কাছে তাদের পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন এই নির্বাচনকে ঘিরে যে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে সেটা যেন বজায় থাকে সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন এই নির্বাচনটাকে সত্যিকারের একটি উৎসবে পরিণত করতে চান তিনি। এখন দেখার বিষয় প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির ইতিহাসে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে কাদেরকে নেতৃত্বে আনে
ভোটাররা।