চট্টগ্রাম পেট্রোলিয়াম খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল

চুয়েটে বিপিসি চেয়ারম্যান

| বৃহস্পতিবার , ৩১ জুলাই, ২০২৫ at ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান বলেছেন, দেশে জ্বালানি নিরাপত্তার প্রথম সুত্র হল পেট্রোলিয়াম সেক্টর। জ্বালানির জন্য বাংলাদেশ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পেট্রোলিয়ামের উপর নির্ভরশীল।পেট্রোলিয়ামের পাশাপাশি মাইনিং এর পরিধি অনেক বিস্তৃত। আমাদের অবশ্যই দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। চট্টগ্রাম পেট্রোলিয়াম খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। চুয়েট এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। শিক্ষার্থীদের এখন থেকেই নিজেদের ভিশন ঠিক করে এর জন্য কাজ করতে হবে। কঠোর অধ্যবসায় ও চেষ্টা করলে সফলতা পাওয়া যাবে। আমাদের অনেক ধরনের সমস্যা রয়েছে আর সেগুলোর সমাধানে এক্সপার্ট দরকার। আমি আশা করি চুয়েট থেকে এমন এক্সপার্ট তৈরি হবে। আমি প্রত্যাশা করি দেশের পেট্রোলিয়াম খাতে চুয়েটের শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিবে এবং দেশের উন্নয়নে তারা ভূমিকা রাখবে।

তিনি গতকাল বুধবার চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এতে গেস্ট অব অনার ছিলেন ভাইসচ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন মেকানিক্যাল অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহীদুল আলম, পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মফিজুর রহমান, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহিরুল হাসান, ইস্টার্ণ রিফাইনারীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. শরীফ হাসনাত, এলপি গ্যাস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুফ হোসেন ভূঁইয়া, যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থপনা পরিচালক মোস্তফা কুদরতইলাহী, আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মানজারে খোরশেদ আলম। পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েমের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিএমই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান। সঞ্চালনা করেন পিএমই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাদিয়া মাহজাবিন ও প্রভাষক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। ভাইসচ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেন, বিশ্ব শক্তি ও সম্পদের টেকসই ব্যবহারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পেট্রোলিয়াম ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব ও দক্ষ ভবিষ্যৎ নির্মান করতে হবে। এটি শুধু দেশের জন্যই নয় বরং পুরো মানবজাতির জন্য কল্যাণকর। চুয়েটের শিক্ষার্থীরা দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারই নয় বরং গবেষক, উদ্ভাবক ও মানবিক নেতৃত্বের ধারক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারে। এজন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।

উল্লেখ্য, এই সেমিনারের মাধ্যমে তেল ও গ্যাস সম্পর্কিত কোম্পানিগুলোর সাথে পিএমই বিভাগের শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ স্থাপন ও তাদের কাজের পরিধি সম্পর্কে জানা বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। এসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবে এবং বিভিন্ন কোম্পানির সাথে শিক্ষার্থীদের সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ থাকবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএমপির দুই উপকমিশনারের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময়
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের সাফল্য