বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালি ও সমাবেশ গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশের আগে চট্টগ্রাম নগরীর ডিসি হিল থেকে র্যালি বের হয়। র্যালিটি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রদক্ষিণ করে চেরাগী পাহাড়ে গিয়ে এক সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। ‘শাসকচক্রের নীল নক্সা ভেস্তে দিতে ছাত্র–জনতা এক হোন, দালাল প্রতিক্রিয়াশীল ও লেজুড়দের মুখোশ উন্মোচন করে দিন, পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের লড়াই জোরদার করুন’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে র্যালি পরবর্তী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি সুনয়ন চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুনীল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল চট্টগ্রাম পূর্ব–৩ অঞ্চলের সভাপতি ভূলন ভৌমিক, প্রগতিশীল চিকিৎসক ডাঃ সুশান্ত বড়ুয়া, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নীতি চাকমা প্রমুখ। এছাড়াও সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সোহেল, বিপ্লবী ছাত্র–যুব আন্দোলনে কেন্দ্রীয় সহ–সভাপতি তিতাস চাকমা, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের অর্থ সম্পাদক এনি চৌধুরী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সাইফুর রূদ্র। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ–সভাপতি অংকন চাকমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক থুইক্যাচিং মারমা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনগণকে ভাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করে ইস্যুভিত্তি কর্মসূচির মাধ্যমে হলেও নিজেদেরকে সংগঠিত হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে যৌথভাবে আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা করতে হবে।
রাঙামাটি পিসিপি : রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, ‘আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠায় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন জোড়দারকরণে ছাত্র সমাজ অধিকতর সামিল হউন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি পরিষদের (পিসিপি) ৩৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ছাত্র–জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাঙামাটি শহরের জিমনেসিয়াম মাঠ প্রাঙ্গণে পিসিপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ২৬ তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবি অধ্যাপক মংসানু চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)। সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থা ভয়াবহভাবে বিরাজ করছে। সামাজিক জীবন এক অলিখিত কারাগারে বাস করতে হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের ২৫ বছর হতে চললেও সরকার চুক্তির মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ অবাস্তবায়িত অবস্থায় রেখে দিয়েছে। পার্বত্য চুক্তির দুই–তৃতীয়াংশ ধারা অবাস্তবায়িত রেখে দিয়ে সরকার উল্টো ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে অব্যাহতভাবে দেশে বিদেশে অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।











