ঢাকার গুলশানে জোড়া খুনের ঘটনায় মো. রুমন নামে এক দোকান কর্মচারীকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন–র্যাব। নিহত রফিকুল ইসলামের স্বজনের দাবি, গ্রেপ্তার রুমন তাদের দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
গত শনিবার সকালে গুলশানের ১০৮ নম্বর সড়কের ২১ নম্বর ফাঁকা প্লট থেকে দুজনের ক্ষত–বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন ওই প্লটের কেয়ারটেকার রফিকুল ইসলাম (৬০) ও তার সহকারী সাব্বির হোসেন (১৫)। রফিকুল সেখানে একটি দোকান চালাতেন। নিহত সাব্বির ও গ্রেপ্তার হওয়া রুমন ছিলেন রফিকুলের দোকানের কর্মচারী। হত্যাকাণ্ডের মাত্র চার–পাঁচ দিন আগে রুমনকে নিয়োগ দিয়েছিলেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক বার্তা বলা হয়েছে, গুলশানের এই জোড়া খুনের ঘটনায় রুমনকে চট্টগ্রামের হালিশহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (আজ) এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য দেবে র্যাব।
রফিকুলের ছেলে বাপ্পী ইসলাম রাতে বলেন, রুমন তাদের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের চার–পাঁচ দিন আগে তাকে দোকানে নিয়োগ দেওয়া হয়। রুমন ও সাব্বিরসহ তার বাবা রফিকুল ওই খালি প্লটে একটি ঘরে থাকতেন। আইনশৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বরাত দিয়ে বাপ্পী বলেন, সেখানে সিসিটিভির ফুটেজে হত্যাকাণ্ডের বেশ কিছু বিষয় ধরা পড়েছে।
কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ভোর ৬টা ২২ মিনিটে রুমন রফিকুল ও সহকারীকে হত্যার পর বাইরে এসে পায়চারী করছিলেন। ঠিক ৭টায় একটি পিকাপ ভ্যান সেখানে আসে। রুমন কয়েক বস্তা সিগারেট ভ্যানটিতে তুলে সেটিতে করেই চলে যান। বাপ্পী বলেন, অন্তত ১০ লাখ টাকার সিগারেট ও নগদ অর্থ নিয়ে যান রুমন। গ্রেপ্তার রুমনের বিস্তারিত পরিচয় দেয়নি র্যাব।