চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রতি মাসেই যেখানে তিন হাজারের বেশি মানুষ চট্টগ্রাম থেকে কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন, সেখানে পরের ছয় মাসে যেতে পেরেছেন মাত্র ১১ জন। করোনা মহামারী বৈদেশিক কর্মসংস্থানে কতটা ধাক্কা দিয়েছে, চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের এই পরিসংখ্যানেই তা স্পষ্ট।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সব মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে মোট সাত লাখ ১৫৯ জন কাজ নিয়ে বিদেশে গেছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে গেছেন ৩৩ হাজার ৪৬৪ জন। নতুন করে আরও অনেকেই বিদেশে চাকরি করতে যেতে আগ্রহী। কিন্তু মহামারীর মধ্যে অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল এখনও বন্ধ থাকায় এবং অনেক দেশ জনশক্তি নেওয়া বন্ধ রাখায় পুরো প্রক্রিয়াই থমকে আছে। উল্টো প্রায় দেড় লাখ মানুষ বিদেশে কাজ হারিয়ে এই সঙ্কটের সময়ে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। মহামারীর আগে বা শুরুর পর যারা দেশে এসে আটকা পড়েছিলেন, তাদের অধিকাংশই এখনও ফিরতে পারেননি। চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে চাকরির জন্য নতুন ভিসা নিয়ে বিদেশ গেছেন মোট নয় হাজার ৮১৭ জন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে তিন হাজার ৫৬৩জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন হাজার ১৫০ এবং মার্চ মাসে তিন হাজার ৯৩ জন চাকরির জন্য মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে গেছেন। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশে করোনার প্রকোপ দেখা দেয় মার্চ মাসে। এরপর লকডাউন শুরু হলে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে দুই মাসের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে এপ্রিল মাসে চট্টগ্রাম থেকে কর্মসূত্রে বিদেশগামীর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় মাত্র ছয়জনে। এরপর মে ও জুন মাসে নতুন কেউ বিদেশে যাননি। জুলাই মাসে একজন, আগস্ট মাসে তিন এবং সেপ্টেম্বরে একজন বিদেশ গেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উপ–পরিচালক জহিরুল আলম মজুমদার জানান, বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলে অক্টোবর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং তিনটি ক্যাটাগরিতে ওমান সীমিত আকারে জনশক্তি নেওয়া শুরু করতে পারে।