চট্টগ্রাম থেকে ইয়েস কার্ড পেল ১৭ জন

সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ১৫ মে, ২০২৫ at ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ

প্রায় নয় বছর পর আবার শুরু হয়েছে সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ শিরোনামে সাঁতারে প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসুচি। ২০১৬ সালে সবশেষ এই কর্মসুচি পালিত হয়েছিল। এরপর আর হয়নি। এবারে নবগঠিত সাঁতার ফেডারেশন এই কর্মসুচি হাতে নিয়েছে। ফেডারেশনের সভাপতি নৌবাহিনী প্রধান এই কর্মসুচি পালনে আগ্রহ প্রকাশ করায় আবার শুরু হলো সে কর্মসুচি। গতকাল চট্টগ্রামে হয়ে গেল বাছাই। বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ জেলার প্রায় শতাধিক ক্ষুদে সাঁতারু এই বাছাই কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করে। যার মধ্য থেকে ১৭ জন পেয়েছে ইয়েস কার্ড। ৯ থেকে ১২ বছরের ছেলে এবং মেয়ে আর ১২ থেকে ১৫ বছরের ছেলে এবং মেয়ে এই দুই ক্যাটাগরীতে অনুষ্ঠিত হয় বাছাই পর্ব। যেখানে ৯ থেকে ১১ বছর বয়সী সাঁতারুদের মধ্যে যারা ইয়েস কার্ড পেয়েছে তারা হলো বালক বিভাগে চট্টগ্রামের আয়ান হোসাইন এবং গোলাম রব্বানী জিলানী। মেয়েদের বিভাগে রাঙ্গামাটির উচাইংওয়া মারমা এবং চট্টগ্রামের ফাতেমা বয়াতি। ১২ থেকে ১৫ বছরের বালক বিভাগে ইয়েস কার্ড পেয়েছে কঙবাজারের রবিউল হাসান, চট্টগ্রামের আহনাফ তাহমিদ দাইয়ান, কক্সবাজারের আহনাফ তাহমিদ রাফি, কঙবাজারের মেহেদী হাসান হৃদয়, চট্টগ্রামের আইমান আল মুনতাসির, চট্টগ্রামের আজমাইন ইকতিদার ফারহান, অনিরুদ্ধ দাশ, জামিউল হাসান, খান আশিকুল মুজিব এবং প্রাঞ্জল বড়ুয়া। এছাড়া ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী বালিকাদের মধ্যে ইয়েস কার্ড পেয়েছে চট্টগ্রামের সম্রাজ্ঞী বড়ুয়া টুসু, ফৌজিয়া নাজনিন সুহা এবং রুশদান।

এই ট্যালেন্ট হান্টে যারা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হবে তাদের জন্য সব রকমের সুযোগ সুবিধাই রাখছে সুইমিং ফেডারেশন। এ প্রসঙ্গে সুইমিং ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন বলেন, ‘আমাদের ব্যবস্থাপনায় তাদেরকে আমরা আমাদের নিজস্ব ক্যাম্পে রাখবো। তাদের থাকার ব্যবস্থা, খাবার একই সাথে স্কুল সব ব্যবস্থাই করা হবে। ট্যালেন্ট হান্টের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয় হচ্ছে বাচ্চাদের জন্য স্কুলের ব্যবস্থা করা। স্কুলের জন্য অনেকে ট্যালেন্ট হান্টে আসে না। অভিভাবকরা তাদের দিতে চান না। সেক্ষেত্রে আমাদের সুইমিং ফেডারেশনের সভাপতি নৌবাহিনী প্রধান উনার স্কুলকে আমাদের জন্য দিয়েছেন। চূড়ান্তভাবে যেসব বাচ্চারা নির্বাচিত হবে তারা নৌবাহিনীর স্কুলে পড়ার সুযোগ পাবে। আমি মনে করি এই সুযোগ যেন কোন অভিভাবক মিস না করে।

বাছাই শেষে সাঁতারুদের হাতে ইয়েস কার্ড তুলে দেওয়া হয়। অনষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন, নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী কমান্ডার আলিমুল ইসলাম সহ সাঁতার ফেডারেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রামের এই বাছাই পর্বের সার্বিক তত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক জাতীয় সাঁতারু মাহবুবুর রহমান সাগর। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে এই বাছাই পর্ব। সারা দেশ থেকে ৬০০ সাঁতারু বাছাই করার পরিকল্পনা রয়েছে ফেডারেশনের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইসিসির এপ্রিল মাসের সেরা খেলোয়াড় মিরাজ
পরবর্তী নিবন্ধ৩০০ পর্বে ‘দেনা পাওনা’