গতকাল দলের সাথে অনুশীলন করলেও তাসকিন নিজেই জানিয়েছেন, ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলা তার অনিশ্চিত এখনও। ইনজুরি, শারীরিক ধকল মিলিয়েই এই অনিশ্চয়তা। পিঠের ইনজুরির কারণে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামলেও নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন। তার বোলিংয়ে ছিল না স্বাভাবিক গতি। খুঁজে পাননি ছন্দ। ৯ ওভার বল করে দিয়েছেন ৮৯ রান। যা তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে খরুচে বোলিং। বড় দৈর্ঘের ক্রিকেটে দীর্ঘ বিরতির পর ফিরেছেন। তার উপর ইনজুরি থেকে মুক্ত হয়েছেন শীঘ্রই।
তাই তাকে খেলানো হবে কি না এটিই এখন বড় প্রশ্ন। সবশেষ ৮ মাসে লাল বলের ক্রিকেটে কোনো ম্যাচ তিনি খেলেননি। গত এপ্রিলের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট খেলার পর দেশের মাঠে শ্রীলঙ্কা সিরিজ ও গত জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনি ছিলেন না ইনজুরির কারণে। এই লম্বা সময়ে প্রথম শ্রেণির কোনো ক্রিকেটেও কোনো ম্যাচ তার খেলা হয়নি। গত মাস চারেক তো ব্যস্ত ছিলেন মূলত টি-টোয়েন্টি নিয়েই।
এছাড়া তার শরীর যতটা ইনজুরি প্রবণ, তাতে হুট করেই বড় দৈর্ঘের ক্রিকেটে নামিয়ে দেওয়া ঠিক হবে কি না, এটিই এখন দলের ভাবনার বিষয়। তাসকিন জানালেন টেস্টের আগের দুই দিনের অনুশীলনের ওপর নির্ভর করবে তার খেলা বা না খেলা।
২০১৭ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের বছরে ৫ টেস্ট খেলে তাসকিনের প্রাপ্তি ছিল ৭ উইকেট। তবে প্রায় সাড়ে তিন বছরের বিরতি শেষে গত বছরের এপ্রিলে টেস্টে ফেরার পর নতুন এই অধ্যায়ে ৬ টেস্টে তার শিকার ১৮টি। আর এই সময়ে তিনি হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের পেস আক্রমণের নেতা।