চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ ও বোয়ালখালী থানা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কারা হেফাজতে মৃত হওয়া রুবেল দের স্ত্রী পূরবী পালিতের করা মামলা এসপি পিবিআই মেট্রোকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৩ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুন্নেছা এই নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এড. মিঠুন বিশ্বাস বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার দরখাস্ত পেশ করেছি। কয়েকদিন আগে বাদীনির উপস্থিতিতে মামলার আবেদনটির উপর শুনানি হয়েছিল। ঐ দিন শুনানি হলেও তখন কোন আদেশ দেওয়া হয়নি। তবে আজ আদেশ দিয়েছে, পিবিআইয়ের পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। আশা করি বাদীপক্ষ সুষ্ঠু বিচার পাবেন।
এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বন্দীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের একাধিক কর্মকর্তা ও বোয়ালখালী থানার কয়েকজন কর্মকর্তাসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের বিচারক ড. বেগম জেবুন্নেছার কাছে মামলার দরখাস্ত পেশ করেন নিহত রুবেলের স্ত্রী।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি এড. আব্দুর রশীদ বলেন, পুলিশ ও কারাগারে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মামলার দরখাস্তটির ব্যাপরে প্রাথমিক তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তদন্তে রিপোর্টের উপর ভিত্তিতে পরবর্তী আদেশ দিবেন আদালত। মামলার দরখাস্তের সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বোয়ালখালী এলাকার রুবেল দে কে জানুয়ারির ২৭ তারিখ গ্রেফতার করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ। পরে রুবেলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পরিবারের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ঘুষ দারি করে পুলিশ।
অন্যথায় রুবেলকে ৫০০ লিটার চোলাই মদ দিয়ে চালান দেওয়ার হুমকি দেয় পুলিশ।
পুলিশের দাবি পূরণ করতে না পারায় বিভিন্নভাবে শরীরিক নির্যাতন করে ২০০ লিটার চোলাই মদ দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ। আত্মীয় স্বজন রুবেলকে কারাগারে দেখতে গেলে তারা তাকে দেখতে পান হুইল চেয়ারে করে নিয়ে আসা হয়েছে। দেখা যায় রুবেলের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন।
পরে রুবেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেল সুপারকে আদেশ প্রদানের জন্য জুডিসিয়াল আদালতে দরখাস্ত দিলে আবেদনটি মঞ্জুর করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে জেল সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত।
পরবর্তী দিন ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮ টায় রুবেলের পরিবার খবর পান রুবেদ দে মারা গেছেন, তার মরদেহ চমেক মর্গে আছে।
পরে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত (নিবারন) আইন ২০১৩ এর ১৫(২) ধারায় বোয়ালখালী থানার পুলিশ কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের একাধিক কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার দরখাস্তটি পেশ করেন ভিকটিম রুবেল দেয় স্ত্রী পুরবী পালিত।