অর্থবছরের শেষ হতে এখনো দুই দিন বাকি। এর মধ্যেই চট্টগ্রাম কাস্টমস রাজস্ব আদায়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ২৭ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২৫৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। যা গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ হাজার ৪৪১ কোটি ৩২ লাখ টাকা বেশি। রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। তবে অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এখনো ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ পিছিয়ে আছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথমবারের মতো রাজস্ব আদায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়।
এ বছর প্রথম ১১ মাসের সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়। স্বাভাবিকভাবে অর্র্থবছরের শেষে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে গত অর্থবছরকে ছাড়িয়ে যাবে এটা একপ্রকার অনুমিত ছিল। মূলত মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি কমে যাওয়া এবং মিথ্যা ঘোষণা আটক পণ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের শুল্ক কর ফাঁকির দ্বিগুণ জরিমানার ফলে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, কাস্টমসে চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ২৭ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৩ হাজার ২৬৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫৮ হাজার ২৫৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
কাস্টমস কর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। মাস ভিত্তিক হিসেবে অর্থবছরের জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা, আগস্ট মাসে ৫ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে ৪ হাজার ৪৫১ কোটি টাকা, অক্টোবর মাসে ৫ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা, নভেম্বর মাসে ৬ হাজার ৩৭ কোটি টাকা, ডিসেম্বর মাসে ৫ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা, জানুয়ারি মাসে ৫ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ৪ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা, মার্চ মাসে ৫ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা, এপ্রিল মাসে ৬ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা, মে মাসে ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং জুন মাসে ৫ হাজার ১৩২ কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে এ যাবতকালের রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে। গত অর্থবছরে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম কাস্টমস ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় করে। রাজস্ব আয় বাড়ার অন্যতম কারণ হলো-বর্তমানে উচ্চ শুল্কের পণ্যের আমদানি বেড়েছে, এছাড়া মিথ্যা ঘোষণার চালানে দ্বিগুণ জরিমানা করা হচ্ছে। এর ফলে রাজস্ব আদায়ও বাড়ছে।