নতুন কাস্টমস আইন–২০২৩ এর ৮২ ধারা বাতিলের দাবিতে ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশন। গতকাল দুপুর ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত সিএন্ডফ এজেন্টের নেতারা চট্টগ্রাম কাস্টমসের প্রধান ফটক বন্ধ করে কর্মবরিতির পালন করে। এর আগে গত মঙ্গলবার ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশন সারাদেশের সকল শুল্ক স্টেশনে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেয়।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন, সিনিয়র সহ–সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানি রিগ্যান প্রমুখ। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, সিএন্ডএফ এজেন্টরা আমদানিকারকের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। এখানে পণ্যের ঘোষণা দেয় আমদানিকারক। কিন্তু কাস্টমস আইনের ৮২ ধরাতে আমদানিকারকের মিথ্যা ঘোষণা কিংবা ঘোষণা অতিরিক্ত পণ্য আমদানির জন্য সিএন্ডএফ এজেন্টকে দায়ী করে আইন করা হয়েছে। আমরা আইনের এ ধারা বাতিল চায়।
উল্লেখ্য, কাস্টমস আইন ২০২৩ এর ৮২ ধারায় বলা হয়েছে আমদানি বা রপ্তানির জন্য পণ্য ঘোষণাকারী বা যার পক্ষে ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে, এমন ব্যক্তি নিম্নলিখিত বিষয়সমূহের জন্য দায়বদ্ধ থাকবেন। (ক) পণ্য ঘোষণায় প্রদত্ত তথ্যের সঠিকতা এবং সম্পূর্ণতা (খ) উপস্থাপিত যে কোনো দলিলের সত্যতা (গ) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রদেয় সকল শুল্ক, কর ও অন্যান্য চার্জ পরিশোধ এবং প্রাসঙ্গিক কাস্টমস পদ্ধতির অধীন সংশ্লিষ্ট পণ্য ন্যস্ত করা সম্পর্কিত অন্যান্য সকল বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন (ঘ) যথাযথ কর্মকর্তার অনুরোধে এবং উক্ত কর্মকর্তা কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কেনো উপযুক্ত ফরমে চাহিদামতো সকল দলিল ও তথ্য দাখিল এবং কাস্টমস আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন বা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান, তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কেনো এজেন্ট কর্তৃক উক্ত ঘোষণা প্রদান করার ক্ষেত্রে, উক্ত এজেন্টও উপরোক্ত দফা (ক), (খা) ও (ঘ) তে উল্লেখিত বাধ্যবাধকতার জন্য দায়ী থাকবেন।