অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের বৃহৎ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমসে চলতি ২০২২–২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস (জুলাই–আগস্ট) রাজস্ব আদায় হয়েছে ১০ হাজার ৩৩৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, যা গত ২০২১–২০২২ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা বেশি। দুই মাসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৯১ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে। রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩২ দশমিক ৪২ শতাংশ।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে ৪ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরিত হয়েছে ৪ হাজার ৭৮১ কোটি ২১ লাখ টাকা। অর্থাৎ জুলাই মাসের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৯৯ কোটি ২১ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে। এছাড়া আগস্টে ৫ হাজার ৬৬১ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসে ২০২২–২০২৩ অর্থবছরে ৭৪ হাজার ২০৬ কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এনবিআর। এর মধ্যে জুলাই মাসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা, আগস্ট মাসে ৫ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে ৬ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা, অক্টোবর মাসে ৬ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা, নভেম্বর মাসে ৬ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা, ডিসেম্বর মাসে ৬ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা, জানুয়ারি মাসে ৬ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ৫ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা, মার্চ মাসে ৬ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা, এপ্রিল মাসে ৬ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা, মে মাসে ৪ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা এবং জুন মাসে ৬ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফাইজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে ইতিবাচক ধারায় শুরু হয়েছে রাজস্ব আদায়। এটি আমাদের জন্য অবশ্যই ভালো দিক। চট্টগ্রাম কাস্টমস অভ্যন্তরীণ রাজস্বের অন্যতম বৃহৎ যোগানদাতা প্রতিষ্ঠান। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আমাদের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৯১ কোটি টাকা বেশি আদায় করতে সক্ষম হয়েছি।
এছাড়া গত অর্থবছরের হিসেবে আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি। রাজস্ব সুরক্ষায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
এছাড়া সঠিক সিপিসির ব্যবহার, যথাযথ এইচএস কোড এবং ভ্যালুতে পণ্যের শুল্কায়নের ফলে রাজস্ব আহরণে গতি বেড়েছে।