চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিলামের টাকা ফেরতে গড়িমসির অভিযোগ ব্যবসায়ীর

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১২ আগস্ট, ২০২৫ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

উচ্চ আদালতের আদেশের প্রায় আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার কর্মকর্তারা নিলামকৃত পণ্যের টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এবিএস কার্টন এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল।

গতকাল চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার বরাবর লিখা এক চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের আমদানিকৃত পণ্য চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলামে বিক্রি করে দেয়ায় আমাদের প্রতিষ্ঠানের হিসাব নম্বরে টাকা ফেরত প্রদানের জন্য চিঠি দিয়ে কাস্টমসের সাড়া পাইনি। পরে আমরা একপ্রকার বাধ্য হয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন ২৭৮০/২০২৩ দায়ের করি। এর প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ বিষয়টি এক মাসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য গত ২০২৩ সালের ৬ মার্চ আদেশ প্রদান করেন। মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের আদেশ প্রাপ্তির পর দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে পুনরায় চিঠি দিয়ে অনুরোধ করি। পরবর্তীতে আমাদের প্রতিষ্ঠান এবিএস কার্টন এন্ড এক্সেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রতিনিধি স্বশরীরে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখায় যোগাযোগ করলে নিলাম শাখার কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা তাপস কুমার সাহা তার অধীনস্থদের মাধ্যমে আমাদের প্রাপ্য মোট টাকার উপর ১০ শতাংশ উৎকোচ দাবি করেন। এ প্রসঙ্গে তাপস সাহেব আমাদের জানান, ‘আপনাদের নিলামকৃত পণ্যের পাওনা সমুদয় টাকা পরিশোধের জন্য যথারীতি নোটশিট প্রস্তুত করে প্রক্রীয়াধীন আছে এবং আপনাদেরকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে চেক প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।’ এ পরিপ্রেক্ষিতে এবিএস কার্টন এন্ড এঙেসরিজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষ থেকে উৎকোচ বাবদ দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করতে অপারগতা প্রকাশ করলে চিঠির মাধ্যমে মূসক নিবন্ধন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের ঠিকানার সঠিকতা নিশ্চিতকরণ করার জন্য অনুরোধ করেন।

চিঠিতে আরো উল্লেখ করো হয়েছে, কাস্টমসের চাহিদা অনুযায়ী চিঠির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানার সঠিকতা নিশ্চিত করা হলেও নিলামকৃত পণ্যের টাকা পরিশোধে পূনরায় কালক্ষেপন শুরু করা হয়। এ প্রসঙ্গে গত ১০ আগস্ট আমাদের প্রতিনিধি স্বশরীরে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখায় যোগাযোগ করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি জানান, ‘আপনাদের চেক প্রদানের ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি লেখা হয়েছে, এনবিআর হতে নির্দেশনা প্রাপ্তির পর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অর্থ কোড সৃজন এবং অর্থ বরাদ্দের জন্য গত ২০২৪ সালের ১ জুলাই এনবিআরে বরাবর চিঠি লিখে এবং ইতোপূর্বে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্তির পরও মিমাংসিত বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপণের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমস পুনরায় এনবিআরে চিঠি লিখার কথা বলে কালক্ষেপণ করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়ি ও মহেশখালীতে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধমিয়ানমার সীমান্তের ওপারে ফের গোলাগুলি