চট্টগ্রাম কাস্টমসে গতকালও সার্ভার সমস্যার কারণে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় আমদানি পণ্যের শুল্কায়নে বিল অব এন্ট্রি দাখিলের পরিমাণ বাড়লেও শুল্কায়ন কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। শুল্কায়ন কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কারণে যথাসময়ে পণ্য খালাস করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, সার্ভারের আপগ্রেডেশনের কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ত্রুটি বিচ্যুতি হচ্ছে। দ্রুত সেসব সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সার্ভার সমস্যার কারণে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা যায়নি। পরবর্তীতে বিকেলের দিকে কাজের গতি কিছুটা বাড়ে। গত মঙ্গলবার বিল এন্ট্রি দাখিল হয়েছে ৮০০টির মতো। তবে গতকাল দাখিল হয়েছে ১ হাজার ৪৯৭টি। যার অধিকাংশই আবার বিকেল ৫টার পর।
চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী রিগ্যান দৈনিক আজাদীকে বলেন, সার্ভারের সমস্যা যেন বর্তমান সময়ে ব্যবসায়ীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি সপ্তাহের পাঁচদিনে আগের সপ্তাহের দুইদিনের কাজও হয়নি। এতে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি পোহানোর পাশাপাশি আর্থিকভাবেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সঠিক সময়ে পণ্য খালাস করতে না পারলে বন্দরের ডেমারেজ গুণতে হবে। এখন এই ক্ষতির দায় কার। সার্ভারের এই সমস্যা আজকে এক–দুইদিনের সমস্যা না। আমরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছি, তারা কেবল শুনে যাচ্ছে আর আমাদের আশ্বস্ত করে যাচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আমরা এই সার্ভার সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।
উল্লেখ্য, আমদানি রপ্তানি–বাণিজ্যকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে অটোমেশনের যাত্রা শুরু হয়। এক সময় অ্যাসাইকুডা প্লাস প্লাস ভার্সন থাকলেও গত ২০১৩ সাল থেকে কাস্টমসে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতিতে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রমের প্রায় সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। কিন্তু মাঝে মাঝেই সার্ভারের গতি কমে যাওয়া কিংবা বিকল হয়ে যাওয়ার ফলে আমদানিকারকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দেখা গেছে, যে কাজ এক মিনিটে হওয়ার কথা সেটি করতে পাঁচ মিনিট লাগছে।