চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে নতুন একজোড়া ট্রেন চালু ও সিডিউল বিপর্যয় বন্ধের দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম–দোহাজারী–কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদ। পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ দাবিতে সম্প্রতি রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপকের (পূর্বাঞ্চল) নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। প্রতিদিন ভোরবেলায় কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী এবং সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার অভিমুখী এক জোড়া নতুন ট্রেন পরিচালনার জন্য রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক (পূর্বাঞ্চল), বাংলাদেশ রেলওয়ে, সিআরবি, চট্টগ্রামের মো. সুবক্তগীনের হাতে চট্টগ্রাম–দোহাজারী–কক্সবাজার রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিফ অফিসারবৃন্দ, বিভাগীয় কর্মকর্তাবৃন্দ, পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু সাঈদ তালুকদার খোকন, সদস্য মো. লিয়াকত আলী, আহমদ উল্লাহ, সাইফুল আলম, রুবেল সেন প্রমুখ।
স্মারকলিপি প্রদানকালে যাত্রী কল্যাণ পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান রেলওয়ের লাভজনক রুট, রেলের রাজস্ব আয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে ঢাকা–কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রেলপথ। রেল কর্তৃপক্ষ বর্তমান ঢাকা–কক্সবাজার রুটে ননস্টপ ২টি ও চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে লোকাল ২টি মোট ৪টি ট্রেন চলাচল করে। তার মধ্যে লোকাল ট্রেন সৈকত সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্য যাত্রা করে। কিন্তু একই সময়ে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের সুবিধার্থে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী এক জোড়া ট্রেনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। যাতে চট্টগ্রামমুখী যাত্রীরা সহজে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে আবার কক্সবাজার যেতে পারে। এই বিষয়টি বিবেচনা করে এই রুটের রেলওয়ে যাত্রী কল্যাণ পরিষদের পক্ষ হতে উল্লেখিত সময়ে এক জোড়া নতুন ট্রেন পরিচালনার জন্য গত ৩১ শে জুলাই রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সচিব এবং মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপির অনুলিপি প্রদান করা হয়েছিল। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহম্মাদ আবু সাঈদ তালুকদার খোকন জানান, আমরা হাজারো যাত্রীদের দাবি ও দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে এ স্মারকলিপি দিয়েছি। রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ দাবির বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।