চট্টগ্রাম–কক্সবাজার–চট্টগ্রাম রুটে নতুন এক জোড়া ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে চট্টগ্রামস্থ বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের দপ্তর থেকে ঢাকায় রেল ভবনে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ডিআরএমএর দপ্তর থেকে রেল ভবনে পাঠানো চিঠিতে ট্রেন দুটির নাম ‘সৈকত প্রভাতি এবং সৈকত গোধুলী’ রাখার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে নতুন একজোড়া ট্রেন চালুর জন্য যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে–তাতে ট্রেন দুটির নাম সৈকত প্রভাতি এবং সৈকত গোধুলী নামকরণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে যে ট্রেনটি যাবে তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে সৈকত প্রভাতি এবং কক্সবাজার থেকে যেটি চট্টগ্রাম আসবে তার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে সৈকত গোধুলী।
৮২১ সৈকত প্রভাতি চট্টগ্রাম ছাড়বে সকাল ৭টায়, কক্সবাজার পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। ৮২৪ সৈকত গোধুলী কক্সবাজার ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টায়, ট্রেনটি চট্টগ্রাম পৌঁছবে রাত ১০টা ৫ মিনিট।
গত ৯ মে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের (ডিআরএম) দপ্তর থেকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে চলাচলরত স্পেশাল ট্রেনটি ১৮ বগিতে দুই ট্রিপ (দুই জোড়া) চালানোর জন্য রেল ভবনে প্রস্তাব পাঠানো হয়। দুই জোড়া চালানোর জন্য রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে এই প্রস্তাব যাবে ঢাকায় রেল ভবনে।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, আশা করি আমার পাঠানো প্রস্তাবে অনুমোদন পাওয়া যাবে। পাঠানো প্রস্তাবনা অনুযায়ী ট্রেনটি পরিচালনা করা হলে যাত্রী চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রেলওয়ের ভাবমূর্তি ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।জানা গেছে, গত ঈদে ‘ঈদ স্পেশাল’ নামে চালু হওয়া এই ট্রেনটি গত ৮ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত মোট ২৫ দিন (৩দিন চলাচল বন্ধ ছিল) ৫১ লাখ ২৫ হাজার ৩৬২ টাকার রাজস্ব আয় করেছে।