বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মাঝে সংযোগ সৃষ্টিকারী রাস্তাটি চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক। দেড়‘শ কিলোমিটারের এই রাস্তা যেমন সুন্দর তেমনি বর্তমানে রূপ নিয়েছে মৃত্যুকূপে। ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দেশের বাকি জেলার মানুষকে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই রাস্তা পাড়ি দিতে হয়। তবে সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে মানুষের আনন্দ এখন প্রায়শই বিষাদে রূপ নিচ্ছে দুর্ঘটনার ফলে। প্রতিনিয়ত এখানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। রাস্তার সংকীর্ণতা এর অন্যতম একটি কারণ। ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মতো এই চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কও অন্যতম ব্যস্ত একটি সড়ক। এই মহাসড়কে প্রতিনিয়ত বেপরোয়া বাস চলাচল ও অটোরিকশা চলাচল এখানকার নিত্যদিনের চিত্র। মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এইখানে লোকাল সিএনজি, অটোরিকশা চলছে নিয়মিত। অন্যদিকে, এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে লবণবাহী পরিবহন। লবণবোঝাই করা গাড়ি থেকে বাতাসের সংস্পর্শে লবণ উড়ে গিয়ে পড়ে রাস্তায়। ফলস্বরূপ, পেছনে থাকা গাড়িগুলো পিছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে লেগেই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। যদি এই রাস্তা সংস্কার করে চার লেনের সড়কে রূপান্তরিত করা না হয় তবে এই রোডে প্রাণহানি তখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হবে। পাশাপাশি লবণ বোঝায় করা গাড়ির জন্য বিকল্প রাস্তা তৈরি করে দেয়াটাও এখন সময়ের দাবি।
মোঃ ইফতেখার রেজা
শিক্ষার্থী,
ড্যাফোডিল ইন্সটিটিউট অব আইটি,
চট্টগ্রাম,আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম।