কালুরঘাট সেতুর ঋণচুক্তি অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান তার বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ গত ১৫ বছরে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রামকে বাদ রেখে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কোরিয়ান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইডিসিএফ এর আর্থিক সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট পয়েন্টে ৭২০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি রেল কাম রোড সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল কাম রোড সেতু নির্মাণের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন রেল পরিবহন সেবা নিশ্চিত করা এবং চট্টগ্রাম–কক্সবাজার করিডোরের অপারেশনাল সীমাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব হবে।
গতকাল কোরিয়ান অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি–২ সম্মেলন কক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ সরকারের ঋণচুক্তি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যম ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন হবে। চীন, ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সংযুক্ত করা ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ বিশেষ নির্মাণ হবে। বাণিজ্যিক রাজধানীর সড়ক পথের যানজট হ্রাস পাবে। আমি আশা করি, কোরিয়া তাদের বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করবে যা আমাদের উন্নয়নের উচ্চ স্তরে যাত্রাকে সমর্থন করবে। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) ক্যাটাগরি থেকে বাংলাদেশের স্নাতক হওয়ার পরও ছাড়পত্রে অর্থায়ন অব্যাহত রাখার অনুরোধ করছি। আমি বিশ্বাস করি যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমাদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের সম্পর্ক সামনের দিনগুলিতে আরও উন্নত হবে।
সেতু নির্মাণ হলে: সেতুটি নির্মাণের পর, এই সেতু দিয়ে প্রায় ১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রতিদিন ২০ জোড়া ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রেলওয়ে। ফলস্বরূপ, কালুরঘাট রেল–কাম–সড়ক সেতু প্রকল্প নির্মাণের মাধ্যমে আনুমানিক ১০ মিলিয়ন মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে।