চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ১৬শ ৬৭ পরিবার পাচ্ছে নতুন ঘর

ভিডিও কনফারেন্সে আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২০ জুন, ২০২১ at ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ২১টি উপজেলায় ১৬শ ৬৭জন ভূমি ও গৃহহীনদের দুই শতাংশ জমিসহ নতুন নির্মিত ঘর প্রদান করা হবে আজ। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় এসব ঘর পাচ্ছেন ভূমিহীন মানুষেরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে বেতাগী ইউনিয়নের বহলপুর গ্রামে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সে সেমি পাকাঘর উদ্বোধন করবেন। চট্টগ্রাম বিভাগে একমাত্র রাঙ্গুনিয়ায় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি উপকারভোগীদের সাথে কথা বলবেন। ২১ উপজেলার মধ্যে কক্সবাজারের আট উপজেলায় নতুন ঘর পাচ্ছে ১০১৮ পরিবার।
‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে না’- বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ঘোষণা বাস্তবায়নে প্রথম পর্যায়ে গত ২৩ জানুয়ারি সারাদেশে ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ পাকা ঘর প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ওই সময় চট্টগ্রামে ১৪৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩৪০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ ঘর প্রদান করা হচ্ছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামে ২১ টি উপজেলায় ১৬শ ৬৭ পরিবারকে ঘর প্রদান করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর অনন্য এই উদ্যোগে ইতোমধ্যে বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি এগিয়ে এসেছেন। বেসরকারি উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেলায় ১২০টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্পে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে। যা দিয়ে ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৫০টি, পটিয়া উপজেলায় ৩০টি, চন্দনাইশ উপজেলায় ২৭টি, সাতকানিয়া উপজেলায় ১০টি, লোহাগাড়া উপজেলায় ১৫০টি, বাঁশখালী উপজেলায় ১৪টি, কর্ণফুলী উপজেলায় ৫টি, বোয়ালখালী উপজেলায় ২০টি, রাউজান উপজেলায় ২৪৮টি, হাটহাজারী উপজেলায় ১০টি, আনোয়ারা উপজেলায় ৫০টি, মীরসরাই উপজেলায় ২৫টি, সীতাকুণ্ড উপজেলায় ১০টি, কঙবাজারের ৮ উপজেলায় ঘর ১০১৮টি সহ মোট ১৬শ ৬৭ পারিবার পাচ্ছে নতুনঘর।
এদিকে কঙবাজার প্রতিনিধি জানান, আজ দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘর পাচ্ছেন কঙবাজারের আট উপজেলার আরও ১০১৮ ভূমিহীন ও গৃহহারা পরিবার। এ নিয়ে দুই দফায় জেলার এক হাজার ৪২৩টি পরিবারকে নতুন ঘর দেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে গত শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুইশ যাত্রী নিয়ে ৫৫ মিনিটে সন্দ্বীপ থেকে কুমিরা
পরবর্তী নিবন্ধবাড়বকুণ্ডে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু পালিয়েছে স্বামী