চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে অর্থপাচার, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে এলজিআরডি সচিব,জনপ্রশাসন সচিব, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ড, দুদকের বিভাগীয় পরিচালক এবং ফজলুল্লাহকে তার জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিাচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রুল দেয়। খবর বিডিনিউজের। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ইকরাম উদ্দিন খান চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
ইকরাম উদ্দিন বলেন, ‘গত বছর ১২ নভেম্বর আদালত এ কে এম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সেসব অভিযোগের বিষয়ে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে বা আদৌ কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না, তা জানাতে বলেছিলেন। কিন্তু দুদক সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানাতে পারেনি। তাই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।’
দুদকের আইনজীবী নওশের মোল্লা বলেন, ‘এ কে এম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান করেছে। এখন তদন্তের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আদালতকে তা জানানোর পর আদালত রুল জারি করেছেন।’