চট্টগ্রাম এবং ফেনী জেলা ফাইনালে

চট্টগ্রাম রিজিওনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ২:২০ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত চট্টগ্রাম রিজিওনাল টিটোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইস্পাহানী ফেনী এবং স্বাগতিক এশিয়ান চট্টগ্রাম। গতকাল সাগরিকাস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে ইস্পাহানী ফেনী ৫৭ রানে সহজেই ফর্টিজ কুমিল্লাকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। একই মাঠে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্বাগতিক এশিয়ান চট্টগ্রাম ৭ উইকেটে কন্টিনেন্টাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নেয়। আজ একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল।

গতকাল প্রথম সেমিফাইনালে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেছিল ফেনী জেলা। ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে জিল্লুর এবং শাহরিয়ার মিলে ২২ রান যোগ করতে সক্ষম হয়। ১৪ বলে ২৫ রান করে ফিরেন জিল্লুর। এরপর দুই রানে আরো দুই উইকেট হারায় ফেনী। দলকে তখন টানার চেষ্টা করেন শাহরিয়ার। কিন্তু তিনিও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। দলকে ১০৯ রানে রেখে ৩৫ বলে ৩৮ রান করে ফিরেন শাহরিয়ার। শেষ পর্যন্ত ১২৯ রানে থামে ফেনীর ইনিংস। দলের পক্ষে আশরাফ ২৪ বলে ১৫, সাজ্জাদ রায়হান ১৭ বলে ১১ এবং মৃত্তিক ১৩ বলে করেন ১৮ রান। কুমিল্লা জেলার পক্ষে ১৭ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন নাহিদ হাসান। জবাবে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লা দ্বিতীয় ওভারেই হারায় উইকেট। এরপর কেবলই প্রস্তর যুগের ব্যাটিং করতে থাকে। তাদের ব্যাটিং দেখে একবারের জন্যও মনে হয়নি ম্যাচটি জিততে চায় কুমিল্লা। কোনমতে ২০ টি ওভার পার করে দিতে পারলেই যেন বাঁচে। শেষ পর্যন্ত সেটাও পারেনি কুমিল্লা। ১৮.৪ ওভারে অল আউট হয়ে গেছে মাত্র ৭২ রান্‌ে দলের পক্ষে দুই অংকের ঘরে যেতে পেরেছেন ১১ রান করা আনোয়ার, ১০ রান করা রুবেল, ২৪ বলে ১৪ রান করা বক্কর এবং ১৮ বলে ১১ রান করা এয়াছিন। ফেনী জেলার পক্ষে ১১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন আশরাফ ফাহাদ। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন এবং শাহরিয়ার আহমেদ। বিজয়ী দলে আশরাফ ফাহাদ ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইস্পাহানী টি লিঃ এর জেনারেল ম্যানেজার টিট্রেড সাইয়েদ হাসান পিচনামাজ এবং ফর্টিজ গ্রুপ প্রতিনিধি আাবদুল আহাদ রিপন। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টসে জিতে ব্যাট করতে নামে কন্টিনেন্টাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া। শুরুটাও ঝড়ের বেগে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ১৯ বলে ২১ রান করে বিচ্ছিন্ন হন দুই ওপেনার। ৮ রান করে ফিরেন আশফাক। দ্বিতীয় উইকেটে আরো ঝড়ের বেগে রান তুলতে থাকেন সুমন এবং খোরশেদ। ২৮ রান যোগ করেন এদুজন। ১৮ রান করা সুমনকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন ইফরান। আর সেখানেই শেষ হয়ে যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যাটারদের জারিজুরি ৪৯ থেকে ৯৫ রানে যেতেই শেষ তাদের ইনিংস। ৪৬ রান যোগ করতে বাকি ৮টি উইকেট হারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। দলের পক্ষে ৩৬ বলে ৩৭ রান করেন খোরশেদ। আর শেষদিকে সজিব ১০ এবং মেহেদী করেন ১১ রান। চট্টগ্রামের পক্ষে ২০ রানে ৩টি উইকেট নেন রুবেল। ২টি উইকেট নিয়েছেন ইফরান হোসেন। ৯৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৫ রানে ওপেনার সাদিকুরকে হারায় চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় উইকেটে শোয়াইবকে নিয়ে ৪৫ রান যোগ করেন কপিল উদ্দিন। ২৮ বলে ৩টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪১ রান করে কপিল ফিরলে ভাঙ্গে এজুটি। ৪ রান পর ফিরেন ১২ রান করা শোয়াইব। তবে শাহাদাত দিপু এবং অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর মিলে ১৫.৩ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জেতার পাশাপাশি দলকে ফাইনালে নিয়ে যান। ২৩ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন দিপু। ১৭ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন ইরফান। ম্যাচ সেরা হয়েছেন চট্টগ্রামের মোঃ রুবেল। তার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন এশিয়ান গ্রুপের ডিরেক্টর ওয়াসিফ আহমেদ সালাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাঠমান্ডুতে অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ বাতিল
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম রিজিওনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল আজ