চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীর জয়রথ অব্যাহত গতিতে ছুটে চলেছে। গতকাল রোববার নিজেদের পঞ্চম খেলাতেও জয়ের ধারা বজায় রেখেছে এবারেও শিরোপা প্রত্যাশী এ দলটি। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় গতকাল চট্টগ্রাম আবাহনীর ৫ম শিকার হয়েছে ইস্পাহানি স্পোর্টিং ক্লাব। সম্ভাবনাময় ইস্পাহানি স্পোর্টিং ক্লাব এবারের লিগে তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছে না। এ পর্যন্ত পাঁচটি খেলার পাঁচটিতেই হার মানতে হয়েছে তাদের। শিরোপার দিকে চোখ রাখা চট্টগ্রাম আবাহনী গতকাল লো স্কোরিং ম্যাচে ৭ উইকেটে খুব সহজেই উড়িয়ে দেয় ইস্পাহানিকে। টসে জিতে ইস্পাহানি প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু প্রথম ব্যাট করার কোন সুবিধাই আদায় করতে পারেনি তারা। উপরন্তু আবাহনীর বোলিং তোপে পড়ে কাহিল অবস্থা হয় তাদের। দলীয় ১৪ রানের পর থেকেই নিয়মিতভাবেই ঝরতে থাকে তাদের একটির পর একটি উইকেট। তাদের এ দূরবস্থার অন্যতম কারণ ছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর বোলাররা। বিশেষ করে অফ স্পিনার মোহাম্মদ হান্নানকে মোটেও পড়তে পারেননি ইস্পাহানির ব্যাটাররা। হান্নান একাই গুড়িয়ে দেন ইস্পাহানির ব্যাটিং লাইন। ৮ ওভার বোলিং করে ২ মেডেনে ১৬ রান দিয়ে সাত সাতটি উইকেট তুলে নেন হান্নান। ইস্পাহানির ওপেনার তানজিম নাবিলই কেবল ১৩ রান করেন। তিনি ছাড়া আর কেউই দু’অংকের ঘরে যেতে পারেননি। ইস্পাহানির সর্বোচ্চ রানও আসে অতিরিক্ত ১৬ রান থেকে। ২৭.৫ ওভার ব্যাট করতে পারে তারা। এতেই মাত্র ৬১ রানে সব উইকেট হারাতে হয় ইস্পাহানিকে। হান্নান ছাড়া চট্টগ্রাম আবাহনীর আবুল হাসনাত ১৪ রানে ২টি এবং জীবন ২১ রানে ১টি উইকেট দখল করেন।
সহজ লক্ষ্য পেয়ে শক্তিশালী আবাহনী মাত্র ৮.৫ ওভারেই জয় তুলে নেয়। তবে তাদের হারাতে হয় ৩টি উইকেট। দলের ওপেনার তাজুল ইসলাম ১৬ বল খেলে ২৩ রান করে শাহ পরানের বলে বোল্ড হলেও অপর ওপেনার সাইদুল ইসলাম খেলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। সাইদুল ২৩ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে। জাহেদ জাভেদ ১১ রান করে শাহ পরানের বলে আউট হয়ে যান। ৫৩ রানে ৩ উইকেটে পতন হলে বাদবাকি সময় সাইদুল এবং মোহাম্মদ শোয়েব দলকে টেনে নিয়ে যান।
ইস্পাহানির শাহ পরান ৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট দখল করেন। অপর উইকেটটি নাইম উদ্দিন পান ১০ রান খরচ করে। আজকের খেলায় অংশ নেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি এবং শহীদ শাহজাহান সংঘ। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এ খেলা অনুষ্ঠিত হবে।