চট্টগ্রামে এক দেওয়ানী মামলায় পক্ষপাতিত্ব মূলক একতরফা আদেশ দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগে ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করেছে বিবাদীপক্ষ।
বুধবার (১৯ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বিবাদী পক্ষে আইনজীবী এডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম। গতকাল আইন উপদেষ্টা বরাবরে এই আবেদন পাঠানো হয় বলে জানান তিনি। তবে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির মাধ্যমে আইন উপদেষ্টার কাছে এই প্রতিকার চাওয়া হয়। অভিযোগের একটি কপি আইনজীবী সমিতির আহবায়ক বরাবরও পাঠানো হয়।
মামলা নং- অপর ৩৫/২০২৫ইং। যা চট্টগ্রাম ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারাধীন ছিল।
উপদেষ্টার কাছে পাঠানো আবেদনে বলা হয়, গত ১৮ মার্চ মামলার ধার্য্য তারিখ ছিল। মামলাটি ১-৪নং বিবাদীর পক্ষে হাজির হয়ে শো-কর্জ এর জবাব এবং মুল মামলার জবাব দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করা হয়। পাশাপাশি আর্জির খারিজের জন্য দরখাস্ত দেওয়া হয়। আদালত মামলাটি হাতে নিয়ে সাড়ে ১২ টায় উভয় পক্ষকে শুনানীর জন্য আসতে বললে বিবাদীর আইনজীবী ১২ টা ১৫ মিনিটের সময় আসে দেখেন যে, ১২ টার আগে একতরফা ভাবে স্থিতাবস্থার আদেশ প্রদান করেন। যা আদালতের নৈতিকতা মুলক মনোভাব ও সততা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। অভিযোগকারী বিচারের পদ্ধতিগত নিয়ম ভঙ্গ করায় তার নৈতিকতা নিয়ে অভিযোগকারী নিশ্চিত হয়েছে যে উক্ত আদেশটি পক্ষপাত মূলক দিয়েছে। আরো আইনগত কারণ হল মহামান্য হাইকোটে সূত্রে উল্লেখিত মামলার বাদীগণের পিতাকে অবৈধ দখলকার সাব্যস্তে তাদেরকে উচ্ছেদ করার জন্য সরকারকে নির্দেশ প্রদান করে। এমতাবস্থায় সরকার নালিশী ভূমি বিবাদীকে কবলা সম্পাদন করে দিলে উক্ত কবলা বাতিলের জন্য বর্তমান বাদীগণের অত্র মামলার কোন লোকাস স্ট্যান্ডি ছিল না। তাই বিবাদী পক্ষে অভিযোগকারী অদ্য আর্জি খারিজের দরখাস্ত করেছেন। উক্ত আর্জি খারিজের দরখাস্ত আদালত শুনানী করার জন্য কথাও বলেছিল। কিন্তু আর্জি খারিজের দরখাস্ত শুনানী ব্যতিরেখে কৌশলে নির্ধারিত সময় ধার্য্যের পূর্বেই স্থিতাবস্থার আদেশ প্রদান করে। যাহা ন্যায় বিচারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী হয়। তাই অভিযোগকারী নিশ্চিত যে অত্র মামলায় বিবাদী কোন ন্যায় বিচার পাবে না। কারণ আদালত বাদীর পক্ষে বশীভূত হয়ে গেছে। তাই বার এসোসিয়েশনের মাধ্যমে এহেন অন্যায় কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সবিনয় সাহার্য্য প্রার্থনা জানানো হয় সেখানে।