চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এবং ৮ মামলার পলাতক মো. জুয়েল ওরপে ধামা জুয়েলকে নগরের বাকলিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৭।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১০টার দিকে র্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এরআগে গতকাল মঙ্গলবার বাকলিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানা এলাকার কসাইপাড়া এলাকার জয়নাল আবেধীন জুনু ওরপে জুনু চেয়ারম্যানের ছেলে জুয়েল।
র্যাবের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের চান্দগাঁও এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ জুয়েল ওরপে ধামা জুয়েল ওরপে হামকা জুয়েল নামে সে পরিচিত। কসাইপাড়ায় বসতি, বাবাও ছিলেন কসাই। কয়েক বছর পূর্বেও দুই ভাই বাদশা রাজু ও জুয়েল চাপাতি হাতে এলাকায় মাংস বিক্রি করতেন।
পরবর্তীতে চাপাতির বদলে হাতে পিস্তল তুলে নিয়ে দুই ভাইয়ের নাম এখন হামকা রাজু ও ধামা জুয়েল। তারা এখন এলাকার ত্রাস, পুলিশের শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়ও তাদের নাম রয়েছে।
অস্ত্র, মাদক, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শুধু সন্ত্রাসী কার্যক্রম নয়, কিশোর গ্যাং তৈরিতেও রয়েছে তার একচ্ছত্র নেতৃত্ব। ধামা জুয়েল নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় একটি ছিনতাইতারী চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করাসহ চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় সে সবসময় সক্রিয়।
তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে অনেকেই অভিযোগ করেন। এছাড়াও বারাই পাড়া এলাকার আনোয়ার নামে এক গার্মেন্টস কর্মকর্তাকে কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করেছিল ধামা জুয়েল ও তার সহযোগীরা।
র্যাব বলেন, হক মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ড আব্দুর সবুর, কিশোর জিয়াদ ও নুরুল আলম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। চাঁদার জন্য আমজাদ হোসেন নামে এক যুবকের দুই পায়ে ড্রিল মেশিনে ছিদ্র করে দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ধামা জুয়েলের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, ভয়ংকর ‘হামকা গ্রুপের প্রধান হামকা রাজু’র ভাই ধামা জুয়েল ইতোপূর্বে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছিল। সম্প্রতি অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজা প্রদান করে বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার দৈনিক আজাদীকে বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় সে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে গ্রেফতার এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে নগরের চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।