চট্টগ্রামের চার কর অঞ্চলে ৪১৭ কোটি ৬১ লাখ ৫৯ হাজার ৪০৮ টাকা কর আদায় হয়েছে। কর আদায়ের বিপরীতে রিটার্ন জমা পড়েছে ৪ লাখ ২৪ হাজার ৭০৩টি। আয়কর বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জরিমানা ছাড়া ২০২৪–২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দেওয়া হয়। প্রতি করবর্ষে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে জরিমানা ছাড়া রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এবার বিশেষ বিবেচনায় তা বাড়ানো হয়। সবশেষ ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জমা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এর আগের দফায় তা বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি করা হয়েছিল। তবে ২ শতাংশ অতিরিক্ত কর দিয়ে সারাবছরই রিটার্ন জমা দেয়া যাবে।
এদিকে জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চট্টগ্রাম কর অঞ্চল–১ এ ১ লাখ ৩১ হাজার ১৫২ রিটার্নের বিপরীতে কর আদায় হয়েছে ৭৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। কর অঞ্চল–২ এর অধীনে ৮২ হাজার ৩৩২ টি রিটার্নের বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার ৩২৮ টাকা। কর অঞ্চল–৩ এর অধীনে ১ লাখ ৪ হাজার ২১৯টি রিটার্নের বিপরীতে কর আদায় হয়েছে ১০৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কর অঞ্চল–৪ এর অধীনে ১ লাখ ৭ হাজারটি রিটার্নের বিপরীতে ৭৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা আয়কর জমা হয়েছে। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল–১ এর কর কমিশনার মো. আবুল কালাম আজাদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, জরিমানা ছাড়া রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা শেষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার আয়কর আদায় কিছু কম হয়েছে। তবে এখন জরিমানাসহ আরও কিছু শর্ত সাপেক্ষে রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ থাকছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছরের মতো এবার চট্টগ্রাম আয়কর বিভাগের উদ্যোগে আয়কর মেলার আদলে করদাতাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল ও আয়কর প্রদান সহজতর করার জন্য সার্কেলভিত্তিক আলাদা আলদা বুথ স্থাপন করা হয়। এসব বুথে আয়কর রিটার্ন গ্রহণ, প্রাপ্তি স্বীকার প্রদান, রিটার্ন ও চালান ফরম সরবরাহসহ আয়কর এবং রিটার্ন সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ দিয়েছে আয়কর কর্মকর্তারা। পাশাপাশি অনলাইন রিটার্ন হেল্পডেস্ক থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিলের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সেবাও প্রদান করা হয়।