চট্টগ্রামে পাহাড় ধস ঝুঁকি, জলাবদ্ধতা ও বন্যা ঝুঁকিজনিত দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল ধরনের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রত্যেক ইউনিয়ন, উপজেলা ও সদর হাসপাতাল মিলে মোট ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। গতকাল বুধবার রাতে গণমাধ্যমে প্রেরিত ও সিভিল সার্জন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া। বিজ্ঞপ্তিতে সিভিল সার্জন জানান, অতি বর্ষণের কারণে মহানগরসহ উপজেলাসমূহের বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়ায় কিছু কিছু এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাই চট্টগ্রাম জেলার ২০০ ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে ১টি করে মোট ২০০টি, ১৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের প্রত্যেকটিতে ৫টি করে মোট ৭৫টি, ৯টি আরবান ডিসপেন্সারির প্রত্যেকটিতে ১টি করে মোট ৯টি, ১টি স্কুল হেলথ ক্লিনিকে ১টি ও জেলা সদর হাসপাতালে (চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল) ৫টি মেডিকেল টিমসহ সর্বমোট ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখতে হবে। দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য বাফার স্টক (ওষুধ, স্যালাইন, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ইত্যাদি) মজুদ রাখতে হবে। সম্ভাব্য যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় সকল কর্মকর্তা–কর্মচারীদেও প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করতে হবে। ইউএইচএন্ডএফপিও সহ সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে। সাপে কাটা রোগীর জন্য এন্টিভেনম মজুদ রাখতে হবে। অতি বৃষ্টির কারণে যেন জনগণের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। দুর্যোগ পরবর্তী স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম জোরদারকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বৃষ্টির পানিতে সরকারি মালামাল যাতে নষ্ট না হয় সে ক্ষেত্রে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। যে কোন বিষয়ে অবগত/পরামর্শেও জন্য জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমের নম্বর–০২৩৩৩৩৫৪৮৪৩ সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। সম্ভাব্য যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।